চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার সাথে জিতলে টিকবে আফগানরা। হারলেই বাদ-এমন সমীকরণকে সামনে রেখেই আজ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে আফগানিস্তান। এই ম্যাচে জয়ী দল উঠে যাবে সেমি-ফাইনালে। আফগানিস্তান হারলে বিদায় নেবে টুর্নামেন্ট থেকে। অস্ট্রেলিয়া হেরে গেলে তাদের নির্ভর করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের ম্যাচের ফলাফলের ওপর।
এমন সমীকরণের ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেটে ২৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রান সেদিকুল্লাহর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রান এসেছে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে এই ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার জন্যও বাঁচা-মরার লড়াই।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। ইনিংসের পঞ্চম বলেই ১ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। স্পেন্সার জনসনের কাছে বোল্ড হন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এরপর ইব্রাহিম জাদরান ও সেদিকুল্লাহ আতাল মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন, তবে বাজে শটে উইকেট দিয়ে ২২ রানে বিদায় নেন জাদরান। এরপর রহমত শাহ (১২) দ্রæত আউট হলে ৯১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান।এরপর হাশমতউল্লাহ শহীদি ও আতাল মিলে ইনিংস সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই জুটি ৬৮ রান যোগ করলেও ব্যক্তিগত ৮৫ রানে থামেন আতাল। ৯৫ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস শেষ হয় জনসনের বলে আউট হয়ে। এরপর একে একে ফিরে যান হাশমত (২০), মোহাম্মদ নবী (১) ও গুলবাদিন নাইব (৪)।দুইশ রানের আগেই সাত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়লেও শেষদিকে আফগানদের লড়াই চালিয়ে যান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৪৯তম ওভারে নাথান এলিসকে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে গ্যালারি মাতান তিনি। তবে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ৬৩ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে ৬৭ রান করে আউট হন ওমরজাই। শেষ বলে বিদায় নেন নূর আহমেদ (৬)।অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন ডোয়ার্শিস। দু`টি করে উইকেট নেন জাম্পা ও স্পেন্সার জনসন। ১টি করে নেন নাথান এলিস ও গেøন ম্যাক্সওয়েল।
আপনার মতামত লিখুন :