ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসনে একদিনে আরও ৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১ অক্টোবর) ভোর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার গাজার জায়তুন এলাকা আল-ফালাহ স্কুলে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। স্কুলটি কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। ওই এলাকায় ইসরাইল স্থল অভিযান সম্প্রসারণের পাশাপাশি ভয়াবহ বিমান হামলাও চালাচ্ছে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আরেকটি হামলায় অনেকে গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে একজন পরে মারা যান।
গাজা সিটি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক ইব্রাহিম আল-খলিলি জানান, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ‘সিভিল ডিফেন্স দল ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মানুষ উদ্ধার করতে গেলে সরাসরি হামলা চালানো হয়, এতে তাদের অনেকে গুরুতরভাবে আহত হন।’
আল-আহলি আরব হাসপাতালের চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরাকে জানায়, ওই হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে,দারাজ এলাকার এক বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত সাতজন নিহত ও অনেকে আহত হন। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব জায়তুন এলাকায় আরেক হামলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়।
আল জাজিরাকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪৭ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা।
ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কারণে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) বুধবার গাজা সিটিতে তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। গত সপ্তাহে চিকিৎসা সেবাদানকারী সংস্থা ডাক্তারস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) একই ঘোষণা দিয়েছিল।
আইসিআরসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পরিস্থিতি অনুকূল হলে আমরা গাজা সিটির বেসামরিক জনগণকে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখব। আমাদের দেইর আল-বালাহ ও রাফাহ অফিস সম্পূর্ণভাবে কার্যকর রয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :