শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১

মন্ত্রিত্ব থেকে টিউলিপকে সরানোর কথা ভাবছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৫, ১০:৩২ এএম

মন্ত্রিত্ব থেকে টিউলিপকে সরানোর কথা ভাবছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

বিনা পয়সায় ফ্ল্যাট নেওয়ার বিষয় নিয়ে সমালোচনার মুখে পরা টিউলিপকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর কথা ভাবছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। এ লক্ষ্যে টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের শর্টলিস্টও করা হয়েছে।
যদিও বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়লেও অতীতে তার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। শুক্রবার(১০জানুয়ারি)বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে টিউলিপ সিদ্দিককে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন প্রার্থীদের নাম ধানমন্ত্রী স্যার কোর স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন বলে টাইমসকে বলা হয়েছে।
ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তারা সপ্তাহান্তে যুক্তরাজ্যের এই ট্রেজারি মন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন এমন প্রার্থীদের চিহ্নিত করেছেন বলেও জানা গেছে। গত সোমবার টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানানোর প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়ার আগেই কর্মকর্তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করেন।দ্য টাইমস বলছে, যদিও প্রদানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন— তিনি টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেছেন,কিন্তু তারপরও টাইমসকে বলা হয়েছে, টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে কে তার উত্তরসূরি হতে পারেন তা প্রধানমন্ত্রী স্টানমারের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কেউ কেউ অন্তত অনানুষ্ঠানিকভাবেই বিবেচনা করছেন।
মূলত টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য,তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে,যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি টোরি এমপিরাও টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা টিউলিপের উদ্দেশে বলেছেন,ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তিনি যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। টোরি এমপি বব বø্যাকম্যান বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং ব্যাখ্যা করতে হবে আসলে কী ঘটেছে এবং কেন। যদি তিনি তা না করেন তবে মন্ত্রী হিসেবে তিনি তার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!