১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার সম্ভাব্য যে সময় ঘোষণা করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল।
ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয় ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকার। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?
জবাবে মুখপাত্র প্যাটেল বলেন,বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকার নির্বাচন আয়োজনের যে প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতৃত্বকে বেছে নেয়ার সুযোগ পাবে। নির্বাচন আয়োজনের সময় নির্ধারণ এমন একটি বিষয়, যেদিকে আমাদের অব্যাহত পর্যবেক্ষণ থাকবে। পুরো প্রক্রিয়াজুড়ে আইনের শাসন,একইভাবে গণতান্ত্রিক মূলনীতির বাস্তবায়নকে আমরা উৎসাহিত করছি। পুরো বিশ্বে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে আমাদের অবস্থান।
গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে দেশে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরার সময় ড. ইউনূস বলেন, যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়, গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে গুম কমিশন। বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এর আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বিষয় নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশে বিগত দুই দশকে যেভাবে শত শত মানুষ জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছে তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জোরপূর্বক গুম হচ্ছে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। গুম ও আটক করে রাখার কারণে ভুক্তভোগীর পরিবার মানসিক যন্ত্রণা এবং অনিশ্চয়তায় ভুগেছেন।’এসব অপরাধ তদন্তে অন্তর্র্বতী সরকারের নেয়া পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন,গুমের শিকার ব্যক্তি এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিতের জন্য আমরা আহ্বান জানাই।
আপনার মতামত লিখুন :