ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদের নিরাপত্তায় মার্কিন সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে চুক্তির পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি।
২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনকে একচেটিয়া সমর্থন জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গেল তিন বছরে জেলেনস্কিকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সামরিক অস্ত্র সহায়তা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কিছুদিন আগে, এ সমর্থনের বিনিময়ে জেলেনস্কির কাছে ইউক্রেনের দুর্লভ খনিজের মালিকানা চেয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার সেসব সম্পদের আশপাশে মার্কিন সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানায়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের চুক্তির পরই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। গেল সপ্তাহে কিয়েভে এক বৈঠকে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে দেশটির খনিজ সম্পদ চেয়ে একটি চুক্তির খসড়া উপস্থাপন করেন।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদের ৫০ শতাংশ মালিকানা যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছে। এনবিসির বরাতে চারজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তিতে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চুক্তিটি কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না দিয়ে শুধুমাত্র খনিজ সম্পদকে প্রাধান্য দিয়েছে। জেলেনস্কির মতে, এ চুক্তি ইউক্রেনের স্বার্থকে রক্ষা করবে না।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, প্রস্তাবটিতে শুধু খনিজ নয়, তেলের মতো আরও প্রাকৃতিক সম্পদও অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি নাফটোগ্যাজ জানায়, গেল বছরের প্রথমার্ধে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার লাভ করেছে।ইউক্রেনের ভূতাত্ত্বিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ল্যান্থানাম, সেরিয়াম, নিয়োডিয়াম, এর্বিয়াম ও ইট্রিয়ামের মতো বিরল খনিজ রয়েছে, যা আলো, ব্যাটারি, পারমাণবিক শক্তি ও লেজারের মতো প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয়। তবে জেলেনস্কি সম্প্রতি জানান যে, ইউক্রেনের খনিজসমৃদ্ধ ভূখন্ডের ২০ শতাংশ বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :