এবার জাপানের শাসক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) সানায় তাকাইচিকে দলীয় প্রধান নির্বাচিত করেছে। এতে প্রথম নারী হিসেবে তিনি দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে গেছেন।
৬৪ বছর বয়সী তাকাইচি যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের প্রেরণায় রাজনীতিতে এগোচ্ছেন। বিজয়ের পর তিনি বলেছেন, ধুঁকতে থাকা এলডিপির ভাগ্য ফিরিয়ে আনতে তার সামনে “পর্বতসমান কাজ” রয়েছে।
প্রায় কয়েক দশক ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে জাপান শাসন করে আসা এলডিপি সাম্প্রতিক নির্বাচনে ছোট দল এবং অভিবাসনবিরোধী ‘সানসেইতো’র প্রতি সমর্থন বৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু জায়গায় ভোট হারিয়েছে।
রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত তাকাইচি এলডিপির প্রধান নির্বাচনে বিভিন্ন কড়া মন্তব্য করে সমালোচনাও পেয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন মধ্যমপন্থী শিনজিরো কোইজুমি, যিনি তাকাইচির চেয়ে ২০ বছরের ছোট। প্রথম দফায় কোনো প্রার্থী বিজয়ী না হওয়ায় ভোট দ্বিতীয় দফায় গড়ায় এবং সেখানে জয়ী হন তাকাইচি।
জয়ের পর এলডিপির সদর দপ্তরে তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মতো মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে আমরা এলডিপির জন্য নতুন যুগের সূচনা করেছি। এখন খুশি হওয়ার পরিবর্তে আসল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। আমাদের একসঙ্গে অনেক কাজ করতে হবে।’তার এই উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্যে উপস্থিতরাও করতালি দেন।
তাকাইচি আরও বলেন, ‘সব প্রজন্মকে নিজে কাজ করতে হবে। এলডিপিকে পুনর্গঠনের জন্য সবাইকে এক হয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত বছর লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বের জন্য শিগেরু ইশিবার বিরুদ্ধে রান-অফে হারার তাকাইচি এখন সংসদের অনুমোদন চাইবেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে বদলানোর জন্য।
এটি প্রত্যাশিত, কারণ এলডিপি সংসদের সবচেয়ে বড় দল, তবে এটি নিশ্চিত নয়,কারণ গত বছরের নির্বাচনে ইশিবা সরকারের অধীনে ক্ষমতাসীন জোট উভয় সংসদ কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।
তাকাইচির নেতৃস্থানীয় পদে প্রথম কাজগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে এই মাসের শেষে ট্রাম্পকে জাপানে আপ্যায়ন করা।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, এই অর্থনৈতিক নীতিবিশেষজ্ঞের অপ্রত্যাশিত জয় বিশ্বের অন্যতম ঋণগ্রস্থ অর্থনীতির বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি তার জাতীয়তাবাদী অবস্থান শক্তিশালী প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে তিক্ততা সৃষ্টি করতে পারে।তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বিনিয়োগ চুক্তি পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনাও উত্থাপন করেছেন, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাপানি পণ্যের ওপর আরোপিত কঠোর শুল্ক কমিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :