দুই দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয় তাকে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রæয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মোদি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।জানা গেছে, এই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং হবে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এই সাক্ষাতের দিকেই তাকিয়ে বিশ্ব। ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর এই প্রথমবার তার সাক্ষাৎ হবে ‘বন্ধু’ মোদির সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মোদি লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য অধীরভাবে অপেক্ষা করছি।দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেক মজবুত সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৭ সালে ওয়াশিংটনে তাদের প্রথম বৈঠকের পর থেকেই বড় বড় সম্মেলনে তারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে যথেষ্ট বৈঠক করেছেন।তাদের দৃঢ় সম্পর্কের নেপথ্যে রয়েছে বৈশ্বিক রাজনীতিতে দৃষ্টিভঙ্গির সাদৃশ্য এবং অভিন্ন প্রতিদ্ব›িদ্ব চীনকে নিয়ে উদ্বেগ। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এই সফরে মার্কিন-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরো দৃঢ় করতে সম্মত হবেন দুজনই।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, সফরকালে ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কয়েকজন সদস্য ছাড়াও শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী নেতৃত্ব এবং ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মোদি। পাশাপাশি, স্পেসএক্স এবং টেসলা মালিক ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।
এছাড়া, কৌশলগত আলোচনার পাশাপাশি বাণিজ্যের বিষয়টিও গুরুত্ব পেতে পারে এই বৈঠকে। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই এর প্রতিফলন দেখা গেছে। এর প্রেক্ষাপটেই দিল্লির পক্ষ থেকে আমদানি শুল্ক কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো বেশি পরিমাণে তেল আমদানির ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়।
এরমধ্যেই কিছু ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই সমস্ত আগাম পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভারতের কাছে সুনির্দিষ্ট দাবি জানানো থেকে বিরত রাখা এবং নতুন প্রশাসনের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা কমানো।
অবশ্য দুদেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করতে মোদিকে শুল্ক আরো কমানোর কথা বলতে পারেন ট্রাম্প। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় চার হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন মোদি। এর মধ্যে দিয়ে দুই পক্ষের জন্যই শুল্কই হ্রাসের চেষ্টা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :