রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পরেই এই ঘোষণা দিলেন দুই নেতা।বুধবার (২২জানুয়ারী) রুশ বার্তা সংস্থা টিএএএস-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিন ও শি ভিডিও কনফারেন্সে ইউরেশিয়ান নিরাপত্তা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় নেতা নিশ্চিত করেন যে, রাশিয়া ও চীন একত্রে ইউরেশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে।
পরে এক বিবৃতিতে পুতিন বলেছেন, ‘আমরা ইউরেশিয়ান অঞ্চল এবং বিশ্বের অবিভাজ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি’।
একই সঙ্গে, চীনে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে রাশিয়া প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে বলেও উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।তিনি বলেন,‘পাঁচ বছর আগে আমরা সাইবেরিয়ার জ্বালানি গ্যাস পাইপলাইন চালু করেছিলাম। আজ রাশিয়া চীনের প্রধান প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে’।
পুতিন এ সময় জোর দিয়ে বলেন, মস্কো এবং বেইজিংয়ের সম্পর্ক বন্ধুত্ব, পারস্পরিক আস্থা এবং সমান সুযোগের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
‘আমাদের সম্পর্ক জাতীয় স্বার্থের বিস্তৃত অভিন্নতার ওপর ভিত্তি করে এবং বড় শক্তিগুলোর মধ্যে কেমন সম্পর্ক থাকা উচিত, সে বিষয়ে অভিন্ন মতামতের সঙ্গে এগিয়ে চলছে’, যোগ করেন পুতিন।
এদিকে ক্রেমলিনের সহকারী মুখপাত্র ইউরি উশাকভ জানান, গত ১৭ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ফোনালাপের বিষয়বস্তু কি ছিল, তা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে তিনি জানিয়েছেন। উশাকভ বলেন, ‘শি জিনপিং ট্রাম্পের সঙ্গে তার ফোনালাপের সারাংশ পুতিনকে জানিয়েছেন’।
এছাড়াও এই দুই নেতা তাদের ভিডিও কনফারেন্সে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি এবং তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। রুশ নেতা এ সময় ‘এক চীন নীতির’ প্রতি তাদের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতা গ্রহণের প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়েও তারা আলোচনা করেন। উশাকভ বলেন,‘ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় এসেছে’।
আপনার মতামত লিখুন :