শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

‘এমন আকর্ষণীয় টুর্নামেন্ট’ প্রতি বছর আয়োজনে আগ্রহী বিসিবি

প্রকাশিত: ০৫:৪৯ এএম, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০

‘এমন আকর্ষণীয় টুর্নামেন্ট’ প্রতি বছর আয়োজনে আগ্রহী বিসিবি

বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়াই সফলভাবে আয়োজন হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ- স্পন্সরড বাই ওয়ালটন।’ জাতীয় দলের একঝাঁক ক্রিকেটারা তো সুযোগ পেয়েছেনই, স্থানীয় ক্রিকেটাররাও তাদের সামর্থ্য-মেধা-প্রতিভা দেখাতে পেরেছেন। দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে শুধু স্থানীয়দের নিয়ে এমন টুর্নামেন্ট প্রতি বছর আয়োজনে আগ্রহী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) । স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রথমবার আয়োজিত হয়েছে এ টুর্নামেন্ট। পাঁচ দলের ৮০ জনেরও বেশি ক্রিকেটারের ব্যাট-বলের লড়াই হয়েছে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। করোনায় স্থবির হয়ে থাকা ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণের সঞ্চার করেছে এ টুর্নামেন্ট। ক্রিকেটাররা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরায় ফিরেছে উন্মাদনা। বিদেশি না থাকলেও প্রায় প্রতি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এই প্রতিযোগিতাকে করে তুলেছে উত্তেজনাময়। টি-টোয়েন্টি এ টুর্নামেন্টকে বেশ আকর্ষণীয় মনে হয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছেও। এজন্য প্রতি বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন একটি টি-টোয়েন্টি আসর চালু করতে চায় দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। নাজমুল হাসান বলেন, ‘বোর্ডে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি যে প্রতি বছর আমরা এটা রাখতে চাই। তবে নির্ভর করছে অনেক কিছুর ওপরে। এফটিপি, আমাদের আইসিসি ইভেন্ট, সব কিছু মিলিয়ে যদি সুযোগ থাকে তাহলে এটাকে অগ্রাধিকার দেব। প্রতি বছরই এরকম একটি আয়োজন হোক এটা আমাদের ইচ্ছা।’ বেশ কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বাইরে আলাদা একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজনের কথা চলছিল। ২০১৯ সালে ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগের ১২ দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে এ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর আলোর মুখ দেখেনি। এর আগে ঢাকায় বিগ বস টুর্নামেন্ট হয়েছিল পাঁচ দল নিয়ে। চট্টগ্রামে পোর্ট সিটি লিগ হয়েছিল ছয় দল নিয়ে। জাতীয় লিগের দলগুলোকে নিয়ে এনসিএল-টি-টোয়েন্টি নামেও আরেকটি টুর্নামেন্ট হয়েছিল ২০১০-এ। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আয়োজিত হয়েছিল বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট সূচিতে নির্দিষ্ট করে কোনও টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নেই। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে উন্নতির জন্য স্থানীয়দের পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়ার পক্ষে সংশ্লিষ্টরা। বিসিবি সভাপতির কন্ঠেও একই সুর, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে বিপিএলের চেয়ে এই টুর্নামেন্টটা অনেক বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। এটার পেছনে সব চেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এতগুলো স্থানীয় খেলোয়াড়ের সুযোগ পাওয়া এবং এতগুলো ছেলেকে দেখার সুযোগ। অন্যান্য বছর আমাদের তাদের দেখার সুযোগ হয় না।’ ক্রিকেট সূচিতে প্রতি বছরই বিপিএলের জন্য স্লট থাকে। বিপিএলে প্রতিটি দলের একাদশে নির্দিষ্ট সংখ্যক বিদেশি খেলোয়াড় সুযোগ পান। স্থানীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই সেখানে সেভাবে সুযোগ পান না। পেশাদার অনেক ক্রিকেটারকেই দর্শক হয়ে থাকতে হয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) তাই। কিন্তু আইপিএল ছাড়াও ভারতে বিসিসিআই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে ছয়টি- আন্তঃপ্রদেশ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি, কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগ, তামিলনাড়ু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, টি-টোয়েন্টি মুম্বাই লিগ, তেলেঙ্গানা টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ ও সৌরাষ্ট্র প্রিমিয়ার লিগ। গত অক্টোবরে ক্রিকেটাররা যে ১৩ দফা দাবিতে ধর্মঘটে গিয়েছিলেন সেখানেও একটি দাবি ছিল, ‘বিপিএলের আগে আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হওয়া জরুরি। এতে বিপিএলে আরও ভালো করতে পারবে স্থানীয় ক্রিকেটাররা।’ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান নিজেও এমন টুর্নামেন্টের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। এবার হয়তো নিয়মিত স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে হবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সুত্রঃ রাইজিং বিডি।
Link copied!