ফাইজারের পর মডার্নার টিকা অনুমোদনে কানাডাবাসীর স্বস্তি
প্রকাশিত: ০৪:৪৫ এএম, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
কানাডায় করোনা মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ক্রমবর্ধমান হারে করোনাভাইরাস বেড়েই চলেছে।
সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাসকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছেন।
ইতিমধ্যে কানাডায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত টিকা প্রদান করতে শুরু করেছে। এবার মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্নার তৈরি টিকার প্রথম চালান পৌঁছেছে কানাডায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে কানাডা মডার্নার টিকা পেল। ১৮ ডিসেম্বর মার্কিন ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এফডিএ) এ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিসেম্বরের শেষ হওয়ার আগেই কানাডাকে এক লাখ ৬৮ হাজার ডোজ টিকা সরবরাহ করছে মডার্না। সেটির অংশ হিসেবে প্রথম চালানের টিকা পেল দেশটি।
এক টুইটে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, এ মাসের শেষে যে এক লাখ ৬৮ হাজার ডোজ টিকা পাওয়ার কথা, তারই অংশ এটি। মডার্না আমাদের ৪০ মিলিয়ন ডোজ টিকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বুধবার কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ মডার্নার টিকাটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তারা জানায়, মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির এ টিকা সুরক্ষিত, কার্যকরী।
অন্যদিকে কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২১৩ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ হাজার ৭১৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫ জন।
ফাইজারের পর মডার্নার করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদনে কানাডাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।