করোনা মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে আগামীকাল (শুক্রবার) দেশে উদযাপিত হবে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে এবার ঈদ উদযাপনে কিছুটা ভাটা পড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আদায় হবে ঈদের নামাজ। এ অবস্থায় যে যেখানে আছেন, সেখানে থেকেই ঈদ উদযাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার সিংহভাগ মানুষ ঈদ করছেন রাজধানী ঢাকায়। ব্যতিক্রম নন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারাও। দলটির বেশির ভাগ নেতা এবার ঈদ করছেন ঢাকায়। ফলে অন্যন্য বারের মতো এবারের ঈদে নিজ নিজ এলাকার মানুষ তাদের সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবারের মতো তার সরকারি বাসভবনেই ঈদ উদযাপন করবেন। অন্যান্য বছর গণভবনে ঈদের দিন নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেও এবার করোনার কারণে সেটি হবে না। হলেও একেবারেই সীমিত পরিসরে হতে পারে বলে জানা গেছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ঈদ করবেন ঢাকায়। তার পক্ষে এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহও ঈদ করবেন ঢাকায়। করোনার কারণে এলাকায় যেতে পারেননি, যাবেনও না। এছাড়া প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান ঈদ করবেন ঢাকায়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফও ঢাকায় ঈদ করবেন বলে জানিয়েছেন। আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউাদ্দিন নাছিম করোনায় মানবিক কাজ ও যাকাত আদায়ের জন্য এর মধ্যে এলাকায় গিয়ে আবার ঢাকায় ফিরে এসেছেন। পরিবারসহ ঢাকায় ঈদ করার পরিকল্পনা আছে তার।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রতিবছর ঈদ করেন এলাকায়। তবে এবার করোনার কারণে ঢাকায় ঈদ করবেন। তিনি ঈদের আগেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এলাকায় গেছেন, সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে ছিলেন। ঈদের পরেও যাবেন। প্রতিসপ্তাহে এলাকায় যান চট্টগ্রামের এই সংসদ সদস্য।
সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ঈদ করবেন ঢাকায়। ঈদের আগেই টানা কয়েকদিন নির্বাচনী এলাকা জয়পুরহাটে থেকে এসেছেন। ঈদের পরদিন আবার যাবেন। আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনও ঈদ করবেন ঢাকায়।