শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইউপি ষষ্ঠ ধাপ : বিধিনিষেধের মধ্যেও ভোট করতে চায় ইসি

প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, জানুয়ারি ২৫, ২০২২

ইউপি ষষ্ঠ ধাপ : বিধিনিষেধের মধ্যেও ভোট করতে চায় ইসি

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে সরকারের ১১ দফা বিধিনিষেধের মধ্যেই আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। অথচ এ সময়ে দেশে সামাজিক-রাজনৈতিক যেকোনো জমায়েত নিষিদ্ধ। এমনকি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ১০০ জনের উপস্থিতির সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তাও তাদের থাকতে হবে টিকা কার্ড অথবা করোনা নেগেটিভের সনদ। এই বিধিনিষেধের মধ্যেও নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভোট শেষ করেছে। এখন আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচার চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে ১ এপ্রিল সব নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর ১০ জুন আবার ভোট স্থগিতের আদেশ দেওয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পাশাপাশি বেশ কিছু পৌরসভা এবং লক্ষ্মীপুর-২, ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ ও সিলেট-৩ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনও পিছিয়েছে করোনার জন্য। এবার কেন তবে ভোট চালিয়ে যেতে চাইছে নির্বাচন কমিশন, সে বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাইছেন না নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল কমিশন। এ অবস্থায় এই ভোট পিছিয়ে গেলে তা নতুন কমিশনকে তদারকি করতে হবে। এ কারণে বর্তমান কমিশন ভোট শেষ করতে চাইছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের যে শিডিউল দেওয়া আছে, সে হিসাবে যথাসময়ে নির্বাচন পরিচালনা করা হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত শিডিউল পরিবর্তন না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আগের শিডিউল মতেই নরমালি কাজ হবে।’ বিধিনিষেধের মধ্যে ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনগুলো একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে বা একেবারে গ্রাম এলাকায় হচ্ছে। এসব গ্রামে নির্বাচন ঘিরে তেমন জনসভাও হয় না, জনসমাগমও হয় না। প্রার্থীরা নিজেরা কয়েকজন মিলেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালান। তারপরও যাতে সেখানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয় তা ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে যদি করোনা পরিস্থিতি খুব বেশি অবনতি হয়, তা হলে অবশ্যই কমিশন তা দেখবে। সে অনুযায়ী প্রোগ্রামে পরিবর্তনও আসতে পারে। তার আগ পর্যন্ত যেভাবে আছে সেভাবেই চলবে। করোনার বিধিনিষেধের মধ্যে বাণিজ্য মেলার মতো আয়োজন চালু রাখা নিয়ে যে সমালোচনা আছে, সে প্রসঙ্গ টেনে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জনসভা বা পথসভার দরকার নেই, এমনিতেই যেখানে-সেখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম। বাণিজ্য মেলায় তো নির্বাচন নেই। সেখানে কেন এত মানুষ?’ প্রসঙ্গত, দেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭৪টি। সব মিলিয়ে ৮ ধাপে ৪ হাজার ১৩৮টি ইউনিয়নে ভোটের ব্যবস্থা করেছে ইসি। এরই মধ্যে ৩ হাজার ৭৭৩টি ইউনিয়নে ভোট শেষ হয়েছে। ষষ্ঠ ধাপে ৩১ জানুয়ারি ২১৯ ইউপিতে, সপ্তম ধাপে ৭ ফেব্রুয়ারি ১৩৮ ইউপিতে এবং অষ্টম ধাপে ১০ ফেব্রুয়ারি ৮ ইউপিতে ভোট হবে।
Link copied!