শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উপাচার্যের নিয়োগকীর্তি

প্রকাশিত: ০১:১৭ পিএম, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২

উপাচার্যের নিয়োগকীর্তি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিষেধাজ্ঞা কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ- কোনো কিছুই পরোয়া করেননি কখনও। তদন্ত করে অনিয়ম ধরা পড়লেও দমানো যায়নি তাঁকে। এত দিন অনিয়ম-দুর্নীতির পথে হেঁটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব খাতে এঁকেছেন কলঙ্কের তিলক। এবার আর কোনো অনিয়ম নয়; মানলেন মেয়াদ ফুরানোর নিয়ম। উপাচার্যের চার বছর মেয়াদের শেষ দিন গেল শনিবার চুপিচুপি ছাড়লেন ক্যাম্পাস। ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান ছিলেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য। তিনি যত দিন ক্যাম্পাসে ছিলেন, মেতেছিলেন জনবল নিয়োগের নেশায়। তাঁর লাগামহীন নিয়োগবাজিতে শিক্ষাঙ্গনটিতে শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যাই বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে এখন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ৪২৬ জন। এদিকে উপাচার্য মেয়াদ শেষে পদ ছাড়লেও সরকারের তরফ থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে ক্যাম্পাসে প্রথম পা রেখে অধ্যাপক শহীদুর রহমান খান জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে প্রকল্প প্রস্তাবনা, নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরি এবং একাডেমিক কার্যক্রম ঢেলে সাজানোই হবে তাঁর মূল কাজ। ক'দিন না যেতেই উপাচার্য ভুলে গেলেন সে কথা। রাখঢাক না রেখেই নেমে গেলেন আত্মীয়স্বজন আর আস্থাভাজনদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একে একে চাকরি দেওয়ার আয়োজনে। কোনো কোনো নিয়োগে তাঁর বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের টাকা লেনাদেনারও অভিযোগ আছে। একসময় তিনি হয়ে ওঠেন 'নিয়োগ যন্ত্র'। ফলে গণহারে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ছাড়া আর কোনো কাজই শেষ করতে পারেননি তিনি। চার বছরে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য প্রকল্পই অনুমোদন করাতে পারেননি উপাচার্য। এখন শিক্ষা কার্যক্রম চলছে সিটি করপোরেশনের একটি স্কুল ও আরেকটি ভাড়া করা ভবনে। অনুমোদন পাওয়া ৪৪৭ পদের মধ্যে উপাচার্য তার ছেলেমেয়ে, শ্যালক, ভাতিজাসহ ৪২৬ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। স্ত্রীকে নিয়োগ দিতে গেলে বাদ সাধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিষয়গুলো ইউজিসির তদন্তে প্রমাণিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ আগস্ট উপাচার্যের ছেলেমেয়েসহ ৯ স্বজন ও ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এর আগে অনিয়ম হওয়ায় কয়েক দফা নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। তবু এ বছর আরও ৪০ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেন উপাচার্য। এখানেই শেষ নয় উপাচার্যের নিয়োগকীর্তি। মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তিম সময়ে গত জুলাইয়ে পরিচালকসহ আরও ২৩ জনকে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন তিনি। তবে নানা আপত্তির মুখে এই কার্যক্রম আর শেষ করে যেতে পারেননি। উপাচার্য পদের মেয়াদের শেষ দিন শনিবার তাঁর কোনো বিদায় সংবর্ধনা কিংবা আনুষ্ঠানিকতা হয়নি ক্যাম্পাসে। সেদিন রাতে অনেকটা নীরবেই খুলনা ছাড়েন উপাচার্য। এ প্রসঙ্গে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, 'আমাদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে চার বছর যা হয়েছে, তাতে আমরা হতাশ। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়োগ-বাণিজ্য ও অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন উপাচার্য। এ কারণে নিজস্ব ক্যাম্পাস কিংবা প্রকল্প অনুমোদন কিছুই হয়নি; হয়েছে শুধু লোকবল নিয়োগ। অনিয়মের প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচারের চাই।' গোড়াতেই অনিয়ম: উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক পথচলা শুরু হয় ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল। শিক্ষার্থী মোট ৩৫০। তবে রয়েছে ১০৮ শিক্ষক, ৫২ কর্মকর্তা ও ২৬৬ কর্মচারীর বহর। এখানে শেষ নয়, আরও ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়াও চলমান। ভূরি ভূরি নিয়োগ দিতে প্রতিবছর নতুন বিভাগ চালুর দিকেই ছিল উপাচার্যের নজর। চার বছরে পাঁচ অনুষদের ৪৩ বিভাগ চালু নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অনেকটাই বিরল। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, দায়িত্ব নিয়েই অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ শুরু করেন উপাচার্য। পরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই পদগুলো স্থায়ী করেন। এতে আপত্তি তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যরা। ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপে ২৯ শিক্ষকসহ ৭৬ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন উপাচার্য। তিনি নিজেই ছিলেন নিয়োগ বোর্ডের প্রধান। নিয়োগে অনিয়ম দেখে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নালিশ জানান সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্য। চিঠিতে তাঁরা লিখেছিলেন, 'খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের শুরু থেকেই অস্বচ্ছতা ও আত্মীয়করণ দেখা যাচ্ছে। বিষয়টির যথাযথ তদন্ত করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অদক্ষ জনবল ও আত্মীয়করণের হাত থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।' বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, উপাচার্যের আত্মীয়স্বজনের বাইরে উৎকোচের বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ সব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে যোগ্যতা শিথিল করেও নেওয়া হয়েছে জনবল। এ ক্ষেত্রে খুলনার স্থানীয় প্রার্থীদের কৌশলে বাদ দিয়ে ময়মনসিংহ, উপাচার্যের নিজ জেলা লক্ষ্মীপুর ও স্ত্রীর জেলা বরিশালের লোকজনকে নিয়োগে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এ ছাড়া নির্বিঘ্নে নিয়োগ শেষ করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিন্ডিকেট সদস্য, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রভাবশালীর স্বজনদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ছেলেমেয়ে, শ্যালক, ভাতিজাকে নিয়োগ: উপাচার্যের ছেলেমেয়ে, শ্যালক, ভাতিজা সবাই পেয়েছেন চাকরি। এমনকি শ্যালিকাপুত্রও হননি নিরাশ। জীবনে শিক্ষকতা না করলেও সহধর্মিণীকে অধ্যাপক বানিয়েও ফেলেছিলেন প্রায়। তবে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া পথ হারায় ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরদারিতে। ছেলে শফিউর রহমান খান ও শ্যালক জসিম উদ্দিন হয়েছেন শাখা কর্মকর্তা। মেয়ে ইসরাত খান হয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষক। চার ভাতিজার মধ্যে মুরাদ বিল্লাহ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সুলতান মাহমুদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইমরান হোসেন ল্যাব টেকনিশিয়ান ও মিজানুর রহমানকে বসানো হয়েছে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে। উপাচার্যের শ্যালিকার ছেলে সাইফুল্লাহ হককে নিয়োগ দেওয়া হয় সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) হিসেবে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগ পাওয়া নিজাম উদ্দিনও উপাচার্যের আত্মীয়। উপাচার্যের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম বিশ্ববিদ্যালয়টির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক পদে প্রার্থী হন। উপাচার্য নিজেই ছিলেন ওই নিয়োগ বোর্ডের প্রধান। এ নিয়ে সমালোচনা তৈরি হলে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্তে ধরা পড়ে অনিয়ম : নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ২০২০ সালের নভেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি করে ইউজিসি। এক বছরের বেশি সময় পর তদন্ত কমিটি গত ২৩ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ প্রার্থীর মধ্যে ফলাফলে পিছিয়ে থেকেও নিয়োগ পেয়েছেন উপাচার্যের মেয়ে ইসরাত। তাঁর সিজিপিএ ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৩০। এ ছাড়া উপাচার্যের ছেলে শফিউর রহমান খান, শ্যালক জসিম উদ্দিনসহ ৯ স্বজনকে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিষয় বিশেষজ্ঞ ছাড়া একই ব্যক্তি দিয়ে সিলেকশন বোর্ড গঠন করে ২০টি বিষয়ে ৭৩ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে উপাচার্যের মেয়ের শিক্ষক নিয়োগ ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া, স্ত্রীকে সরাসরি অধ্যাপক বানানোর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল এবং সব নিয়োগে স্বজন ও অঞ্চলপ্রীতি না করাসহ সাত দফা সুপারিশ করা হয়েছিল ইউজিসির নিষেধাজ্ঞার পরও নিয়োগ : অনিয়ম তদন্তের সময় নতুন নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে গত ১০ জানুয়ারি রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেয় ইউজিসি। চিঠিতে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এই সময় ১৫ কর্মকর্তা ও ৩৫ কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এঁদের বেশিরভাগই আগে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত ছিলেন। নতুন করে আরও ১০ শিক্ষক ও ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিতে গত ১৮ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে দোটানায় পড়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেননি উপাচার্য। ক্যাম্পাসে অস্বস্তি : উপাচার্যের ছেলেমেয়েসহ ৯ স্বজন এবং একসঙ্গে ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশে ক্যাম্পাসে অস্বস্তি বিরাজ করছে। বিষয়টির সুরাহা না করে উপাচার্যের নীরব প্রস্থান মেনে নিতে পারছেন না কেউই। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. এম এ হান্নান বলেন, অনেকে অনেক ভালো চাকরি ছেড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছি। ৭৩ নিয়োগ বাতিলের খবরে সবার মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। শিক্ষকরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষা কার্যক্রমে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাধারণ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, ছেলেমেয়ে-শ্যালকসহ ৯ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশে সবার মধ্যেই এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, আমরা তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন ও কিছু সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এর আলোকে মন্ত্রণালয় কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইউজিসির কোনো বক্তব্য নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সভাপতি ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের নিয়োগ প্রত্যাহারের নির্দেশনায় আমরা উদ্বিগ্ন। কিছু ব্যক্তির নিয়োগের জন্য ৭৩ শিক্ষকের চাকরি ঝুঁকিতে ফেলায় সবাই ক্ষুব্ধ। এ কারণে উপাচার্যের শেষ দিন কোনো শিক্ষকই তাঁকে বিদায় জানাতে যাননি। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সরওয়ার আকরাম জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রতিপালন প্রশাসন বিভাগের বিষয়। নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা আসা ব্যক্তিদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে আমার কাছে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। এলে সেভাবে ব্যবস্থা নেব। রেজিস্ট্রার যা বললেন : রেজিস্ট্রার ড. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন কাউকে এখনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক দৈনন্দিন কাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিষয় সামনে এলে মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিয়ে কাজ করা হবে। তিনি বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে জমি অধিগ্রহণ করে স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে। নিয়োগের ব্যাপারে তিনি জানান, ইউজিসির চিঠি পেয়ে ২৩ জনের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সদ্য সাবেক উপাচার্যের সাড়া নেই : খুলনা ছেড়ে শনিবার রাতেই উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খান ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলে যান। নিয়োগসহ সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য জানতে দু'দিন ধরে অসংখ্যবার তাঁর মোবাইলে ফোন দেওয়া হয়। বিষয়বস্তু তুলে ধরে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। তিনি ওই বার্তা দেখলেও সাড়া দেননি। সবশেষ গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবার উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা দেখলেও এবারও কোনো উত্তর দেননি তিনি।
Link copied!