শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন

প্রকাশিত: ০৭:৫৩ পিএম, নভেম্বর ২৫, ২০২১

গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন

ডেইলি খবর ডেস্ক: গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন।আগামী রোববার থেকে তিনি দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। কিরন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার চিঠি পেয়েছেন। এরআগে মেয়র জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্ত করার আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র প্যানেল গঠন করে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর ধারা ২০ (২) এর বিধান মতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট মেয়র প্যানেল মনোনীত করা হল। এতে জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে প্যানেলের প্রথম হয়েছেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরন, ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আব্দুল আলীম মোল্লা এবং সংরক্ষিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মোসা. আয়েশা আক্তার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন,প্যানেলের মেয়রের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে আসাদুর রহমান কিরণ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নিচ্ছেন।জানতে চাইলে আসাদুর রহমান কিরন বলেন,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত মেয়র হওয়ার চিঠি পেয়েছি। আগামী রবিবার থেকে নতুন দায়িত্বে কাজ শুরু করবেন বলে জানান তিনি।এরআগে,স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো:তাজুল ইসলাম বলেন, সেখানে মেয়রদের প্যানেল গঠন করা হয়েছে। যিনি জ্যেষ্ঠতার বিচারে এক নম্বরে আছেন, তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাকেই দায়িত্ব হস্তান্তরর করা হবে। আজকে আমরা বহিষ্কার আদেশ জারি করছি। আদেশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে নতুন ভারপ্রাপ্ত মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এর মধ্যেই ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত শেষ হতে কতদিন লাগতে পারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা আমলে নিয়েছি। এখন তদন্ত শুরু হবে অনতিবিলম্বে। তদন্ত করতে মাঠ পর্যায়ে কতদিন লাগবে,সেটা এখনই বলা যাবে না। হয়তো বেশি সময় লাগতে পারে। আরও নতুন বিষয় যোগ হতে পারে। তার বিরুদ্ধে যে চার্জগুলো গঠন করা হবে, আমরা তদন্ত করে যেগুলো পাব, সেগুলো বিষয়ে তাকে শোকজ করা হবে। আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিকভাবে অধিকার আছে। সে অধিকার তিনিও ভোগ করতে পারবেন।  
Link copied!