শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবির সমাবর্তনের স্বর্ণপদকের স্বর্ণে গরমিল

প্রকাশিত: ১১:০১ এএম, নভেম্বর ১৮, ২০২২

ঢাবির সমাবর্তনের স্বর্ণপদকের স্বর্ণে গরমিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৫৩তম সমাবর্তনে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে ১৭১টি। স্বর্ণপদকগুলো তৈরি পর এর মধ্য থেকে ৩৫টির পরীক্ষা করালে অধিকাংশের ওজনের মধ্যে গরমিল পাওয়া গেছে। এই গরমিলের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। তবে তা সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উপলক্ষে দাদা মেটাল প্রসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১৭১টি স্বর্ণপদক তৈরি ও সরবরাহের অর্ডার দেওয়া হয়। এসব স্বর্ণপদকে স্বর্ণের ওজন সাড়ে চার গ্রাম করে থাকবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ওই স্বর্ণপদক তৈরির পর সেগুলোর মধ্য থেকে ৩৫টি স্বর্ণপদকের স্বর্ণের ওজন ও খাঁটিত্ব (ক্যারেট) পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে পাঠানো হলে পরীক্ষার পর ৩৩টি স্বর্ণপদকে গরমিল পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ৩৫টির মধ্যে মাত্র দুইটি স্বর্ণপদকের সঠিক ওজন পাওয়া গেছে। তবে ২১টিতে চার গ্রামের কম-বেশি এবং বাকিগুলোতে তিন গ্রামের কম স্বর্ণ ছিল। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদকে আহ্বায়ক করে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে গেলে তারা এই চিত্র দেখতে পান। এ বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ বলেন, ‘আমরা ৩৫টি স্বর্ণপদক পরীক্ষার জন্য পরমাণু শক্তি কমিশনে যাই। কিন্তু পরীক্ষার পর আমরা টুকটাক কিছু গরমিল পাই। তবে এটি ব্যালেন্স হয়ে যাবে।’ এই অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে একই বক্তব্য দিয়েছেন পরীক্ষা কমিটির আরও দুই সদস্য। এদিকে, স্বর্ণপদকের দায়িত্বে থাকা দাদা মেটাল প্রসেসের দায়িত্বরত শ্যামল নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদেরকে গত ১৩ তারিখে অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এত কম সময়ের মধ্যে ১৭১টি স্বর্ণপদক কেউ তৈরি করে দিতে পারবে না। বাংলাদেশে এমন কারো জন্ম হয়নি যারা তিন দিনে ১৭১টি স্বর্ণপদক তৈরি করে দিতে পারবে। আমাদের কম সময় দেওয়ার কারণে এই সমস্যা হয়েছে।’
Link copied!