নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীন তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে নাক গলাচ্ছে। উদ্দেশ্য, দলীয় কোন্দলে জড়িয়ে পড়া প্রধানমন্ত্রী কে পি অলির সরকারকে টিকিয়ে রাখা। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এমনটাই জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর চাপে রয়েছেন অলি। আর এ চাপ এসেছে ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) ভেতর থেকেই।
সূত্রগুলো বলছে, অলি সরকারকে টিকিয়ে রাখতে কাঠমাণ্ডুতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হু ইয়াংকি দৌড়ঝাঁপ বাড়িয়েছেন। এরই মধ্যে এনসিপির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাসহ ভিন্নমতাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সূত্র মতে, চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পরিষ্কার নির্দেশনা অনুসারে চীনা রাষ্ট্রদূত নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিস্তারে তৎপর।
সূত্রগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত রবিবার কোটেশ্বরে ক্ষমতাসীন এনসিপির নেতা মাধব কুমার নেপালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হু। ওই বৈঠকে তিনি ক্রমবর্ধমান দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপর তিনি সাক্ষাৎ করেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারির সঙ্গেও।
তবে নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ এটিই নতুন নয়। দেড় মাস আগে ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চূড়ায় পৌঁছে, তখনো তিনি প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারি ও প্রধানমন্ত্রী অলির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। মাধব নেপাল ও এনসিপির নির্বাহী চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ডসহ অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গেও আলাদাভাবে আলোচনায় বসেন হু।
প্রধানমন্ত্রী অলি এককভাবে বাজেট অধিবেশন স্থগিত করায় এনসিপির দুই অংশের মধ্যে মতভেদ বেড়েছে। প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন অংশ অলির পদত্যাগ দাবি করে আসছে। এই অংশে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাধব নেপাল ও ঝালানাথ খানাল।
এনসিপির ৪৫ সদস্যের শক্তিশালী স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল গত সোমবার। তবে শেষ মুহূর্তে তা বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। এদিনও প্রচণ্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী অলি। উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের মধ্যকার মতভেদ দূর করা। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই শীর্ষ নেতা বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন।
নিজের মতো করে সরকার পরিচালনাসহ ভারতবিরোধী বিবৃতি দেওয়ার জেরে অলির সঙ্গে দলের অন্য অংশের নেতাদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র : জিনিউজ।