শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফিটনেস দেখে সন্তুষ্ট জেমি

প্রকাশিত: ০৭:১৯ এএম, মে ১৮, ২০২১

ফিটনেস দেখে সন্তুষ্ট জেমি

ক্লাব ছেড়ে ফুটবলাররা আবার জাতীয় দলের শিবিরে। যেখানে ম্যাচ জেতানোর জন্য বিদেশি নেই, নিজেদের পায়েই গড়তে হবে দেশের ফুটবল ভাগ্য। বাংলাদেশের ফুটবলের এই এক মহা গেরো। ক্লাব ফুটবলে সাধারণত বিদেশিরাই গড়ে ম্যাচের ভাগ্য, দেশি ফুটবলাররা থাকে পার্শ্ব চরিত্রে। জাতীয় দলে সেই পার্শ্ব চরিত্রগুলোই হয়ে ওঠে মুখ্য। জামাল-তপুদের হাতেই বাংলাদেশ ফুটবলের জিয়নকাঠি। তাঁদের ওপর হয়তো শেষবারের মতো ভরসা রেখে জেমি ডে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু করেছেন বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের অনুশীলন। বাছাই পর্বে শেষ তিন ম্যাচের ওপরই যে এই ইংলিশ কোচের চাকরি নির্ভর করছে অনেকখানি। জেমির ওপর ক্ষুব্ধ বাফুফের একটি পক্ষ। সর্বশেষ নেপাল সফরে ব্যর্থতার পর খোদ বাফুফে সভাপতির সমালোচনার তীর ছুটে গিয়েছিল তাঁর দিকে। তাই চুক্তির অনেক সময় বাকি থাকলেও খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে এই ইংলিশ কোচ। চাকরি হারানোর ভয় নিয়ে কখনো তিনি সরব নন। এখানকার ফুটবল অবকাঠামোর ঘাটতি নিয়ে কথা বললেও কখনো দায় চাপাননি ফুটবলারদের ওপর। কাল অনুশীলনের প্রথম দিনেও জেমি আগলে রেখেছেন তাঁর শিষ্যদের, ‘ওরা ভালো অ্যাথলেট, নিজেদের খেয়াল রাখে। খাবারের ব্যাপারেও তারা সচেতন। তবে একটি বিরতির পর নিজেদের ফিরে পেতে কয়েকটি সেশন লেগে যায়। ফুটবলারদের যেরকম চেয়েছিলাম আমি সেরকমই পেয়েছি। হাতে এখনো তিন সপ্তাহ সময় আছে, ফিটনেসের দিক দিয়ে ওরা সেরা জায়গায় পৌঁছে যাবে।’ চোটের কারণে ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ বাদে ডাক পাওয়া ৩২ জনই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। এত দিন প্রিমিয়ার লিগ চলায় সবাই ছিলেন খেলার মধ্যে। মাঝে ঈদের ছোট্ট বিরতি গেলেও খেলোয়াড়দের ফিটনেসের খুব দুর্দশা হওয়ার কথা নয়। প্রথম দিন সকালের সেশনে ইয়ো ইয়ো টেস্টেও তা-ই দেখা গেছে। কারো কারো ফিটনেসে এক-আধটু সমস্যা আছে। ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য জাতীয় দলে ঢুকতে গেলে অবশ্যই খেলোয়াড়দের ফিটনেস একটা পর্যায়ে থাকতে হবে। প্রথম দিন দেখে ছেলেদের সেটা আছে বলেই মনে হয়েছে। আগামী পাঁচ দিন ফিটনেস নিয়েই কাজ হবে, এরপর আবার টেস্ট হবে। এরপর দলটাকে ২৫ জনে নামিয়ে আনা হবে। তারপর ম্যাচের আগে আমরা ১২ দিনের মতো সময় হাতে পাব, তখন ট্যাকটিক্যাল সেশন হবে’—বলেছেন জাতীয় দলের কোচ। ফিটনেস ফেরানোর পর শুরু হবে ট্যাকটিক্যাল অনুশীলন। রক্ষণ সামলানো এবং কাউন্টার অ্যাটাকের চর্চা হবে ট্রেনিংয়ে। আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে যখন পয়েন্টের স্বপ্ন সার্থক করতে এই দুটো কাজ করতে হবে নিখুঁতভাবে। যে রক্ষণ নিয়ে জেমির গর্ব, সেটাও ভেঙে খান খান হয়ে গেছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১৩ গোল হজম করেছে পাঁচ ম্যাচে। তাই ডিফেন্ডার বিশ্বনাথের ইনজুরিও একটি ধাক্কা। নেপালে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়েই চোট পান বসুন্ধরা কিংসের এই ডিফেন্ডার। এরপর ক্লাব দলের হয়েও আর মাঠে নামতে পারেননি তিনি। চোট সারলেও তিনি এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। তাঁর জায়গায় জেমি ডে নতুন কাউকে ডাকার প্রয়োজন দেখছেন না। কোচ ভরসা রাখছেন ৩২ জনের ওপরই, ‘নতুন কোনো ফুটবলার ডাকার ভাবনা নেই, ক্যাম্পে যথেষ্ট খেলোয়াড় আছে। চূড়ান্ত একটা সিদ্ধান্তের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। কাতারে গিয়ে আমাদের ভালো ট্রেনিং হবে এবং দলের সুন্দর চেহারা দাঁড়িয়ে যাবে আশা করি।’ এই চেহারার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের পয়েন্টের স্বপ্ন, সম্ভবত বাংলাদেশে জেমির চাকরিও!
Link copied!