শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত-পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, অক্টোবর ১৬, ২০২১

ভারত-পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

স্বাধীনতার ৫০ বছরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে যে দেশটির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল সেই পাকিস্তান এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতকে পেছনে ফেলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক, বিশ্ব শান্তি সূচক, গড় আয়ু, শিশু মৃত্যুর হারসহ এ রকম অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে দেশ দুটির চেয়ে বাংলাদেশ এখন বেশ মজবুত অবস্থানে আছে। এমনকি চলমান মহামারি করোনা সহনশীলতা সূচকেও ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অনেক সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে যাওয়া স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে, মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ভারতকে পেছনে ফেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২ হাজার ১৩৮ দশমিক ৭৯ ডলার। আর একই সময়ে ভারতের জনগণের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২ হাজার ১১৬ দশমিক ৪৪ ডলার। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান পিছিয়ে আছে অনেক খানি। ২০২১ সালে পাকিস্তানের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১ হাজার ৫৪৩ ডলার। এর আগেও কখনও বিশ্বব্যাংক, কখনও ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং ফান্ড (আইএমএফ), এডিবিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কখনও অর্থনৈতক সূচক, কখনও সামাজিক বিভিন্ন সূচক প্রকাশ করে। এগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসবের অনেক সূচকেও ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ পাকিস্তানের দ্বিগুণ এবং তাদের মুদ্রা টাকার ক্ষেত্রেও এর মূল্য পাকিস্তানের রুপির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার পাকিস্তানের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে জিডিপির আকারের ভিত্তিতে বৃহৎ অর্থনীতির দেশের তালিকায় ৪১তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের অবস্থান ৪৪তম। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাকিস্তানের ২০ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের রফতানি আয় ৪৩ বিলিয়ন ডলারের, পাকিস্তানের সেখানে ২৩ বিলিয়ন ডলার। পাসপোর্ট সূচক, সাক্ষরতার হার, ক্ষুদ্রঋণ ও নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের ২২ কোটির তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪০ লাখ। অথচ ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ৬ কোটি। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর আর পাকিস্তানে ৬৭ বছর। পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু মৃত্যুর হার বাংলাদেশে হাজারে ২৫ জন, পাকিস্তানে প্রতি হাজারে মারা যায় ৫৯ জন। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাপর্ব শেষ করছে ৯৮ শতাংশ শিশু, পাকিস্তানে ৭২ শতাংশ। জেন্ডার প্যারিটি ইনডেক্সে ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ যেখানে ৫০তম, সেখানে পাকিস্তান আছে ১৫১তম অবস্থানে; অর্থাৎ একেবারে তলানিতে পড়ে আছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৮ শতাংশ, যা পাকিস্তানে ২৩ শতাংশ। এবার ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকের চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, মহামারি করোনার কারণে বিশ্বের সব দেশেরই জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমেছে। করোনার আগের স্বাভাবিক সময়ের প্রবৃদ্ধি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ সময় ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি যেখানে শতকরা ৫ শতাংশ, বাংলাদেশের সেখানে ৮ শতাংশ। বাংলাদেশের পুরুষ ও নারীদের গড় আয়ু যথাক্রমে ৭১ ও ৭৪ বছর; ভারতে তা যথাক্রমে ৬৭ ও ৭০ বছর। ভারতে নবজাতকের মৃত্যুর হার প্রতি ১ হাজার জনে ২২ দশমিক ৭৩, বাংলাদেশে সে হার ১৭ দশমিক ১২। ভারতে শিশু মৃত্যুর হার ২৯ দশমিক ৯৪, বাংলাদেশে ২৫ দশমিক ১৪। ৫ বছরের কম বয়সি শিশুর মৃত্যুহার বাংলাদেশে ৩০ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা ভারতে ৩৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সি ৭১ ভাগ নারীই স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন, ভারতে এ হার ৬৬ শতাংশ। বাংলাদেশে ৩০ শতাংশের বেশি নারী শ্রমে যোগ দিচ্ছেন; ভারতে এ হার মাত্র ২৩ শতাংশ। এক যুগে তা ৮ শতাংশ কমেছে। ছেলেমেয়েদের উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ভারতে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশ ১ দশমিক ১৪ শতাংশ হারে এগিয়ে। শিশুমৃত্যুর হারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো। ভারতে যেখানে প্রতি ১ হাজার জনে ২৯.৯ এবং পাকিস্তানে ৫৭.২ জন শিশু মারা যায়, সেখানে বাংলাদেশ এই শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছে ২২.১ জনে। শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশে ৫-১৪ বছর বয়সি শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ শীর্ষে। রেটিং ৪.১। ভারতের ৫.৭ এবং খুব খারাপ অবস্থায় থাকা পাকিস্তানের রেটিং ৯.৭। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করাতেও এগিয়ে বাংলাদেশ (১১৬.৫%)। এরপর আছে ভারত (১১২.৯%) এবং পাকিস্তান (৯৪.৩%)। শিক্ষার হারের ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে ভারত। সেখানে শিক্ষার হার ৭৪.৪%। সামান্য পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের শিক্ষার ৭৩.৯%। সবার শেষে থাকা পাকিস্তানের শিক্ষার হার ৫৯.১৩%। জন্মহার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তিনটি দেশই জনবহুল এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। জন্মহার নিয়ন্ত্রণে প্রথম বাংলাদেশ (২.০)। দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত (২.২) এবং তৃতীয় স্থানে পাকিস্তান (৩.৫)। গড় আয়ুর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে। এ দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৩ বছর। ভারতে ৬৯.৪ এবং পাকিস্তানে ৬৭.১ বছর। বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ভারতে (৯০.৯)। শীতের মৌসুমে দেশটির রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি শহর ধোঁয়াশায় ঢেকে যায়। দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ (৬০.৯)। এই ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অবস্থা বাকি দুই দেশের চেয়ে ভালো (৫৮.৩)। বিদ্যুৎতায়নের ক্ষেত্রে বেশিসংখ্যক মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসায় সবচেয়ে এগিয়ে ভারত (৯৫.২%)। দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ (৮৫.২) এবং সবার শেষে পাকিস্তান (৭১.১)। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ওয়াশিংটনভিত্তিক কনজারভেটিভ থিংক ট্যাঙ্ক দ্য হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে ৫৬.৫ স্কোর করে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০তম। বাংলাদেশের সমান স্কোর নিয়ে ১২১তম অবস্থানে আছে ভারত। পাকিস্তানের অবস্থান পাকিস্তান ১৫২তম। বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) প্রকাশিত সর্বশেষ বৈশ্বিক শান্তি সূচকে (জিপিআই) ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ এখন তৃতীয়। তালিকা অনুযায়ী গত বছরের চেয়ে সাত ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৯১ নম্বরে। স্কোর ২ দশমিক ০৬৮। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল তালিকার ৯৭তম। বাংলাদেশের পরে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা (৯৫), ভারত (১৩৫), পাকিস্তান (১৫০)। আফগানিস্তান সূচকের একেবারে তলানিতে অবস্থান করছে। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায়ও দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের কোভিড রেজিলিয়েন্স বা কোভিড সহনশীলতা সূচকে চলতি মাসে পাঁচ ধাপ এগিয়ে বিশ্বের ৫৩টি দেশের মধ্যে ৩৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। গত আগস্টে ব্লুমবার্গের এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৪তম। সম্প্রতি প্রকাশিত ব্লুমবার্গের সূচক অনুযায়ী, করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫৯ দশমিক ৬। যেখানে প্রতিবেশী ভারতের এই স্কোর ৫৬ দশমিক ২ এবং পাকিস্তানের ৫৬ দশমিক ১। এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে। সে সময়ে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে ভারত ও পাকিস্তান এগিয়েছিল। আজ ৫০ বছর পর প্রায় প্রতিটি সূচকেই তারা বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে। এটাই আমাদের স্বাধীনতার বড় অর্জন। যেকোনো দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ধরা হয় মানবসম্পদ, যাতে আমরা শুধু পাকিস্তান নয়, অনেক ক্ষেত্রে ভারত থেকেও এগিয়ে আছি। নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, মা ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে চিহ্নিত করেছে ‘বিস্ময়কর ধাঁধা’ হিসেবে। বাংলাদেশের অর্জনগুলো নিয়ে আমরা আজ গর্ব করতে পারি। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ : বিশ্ব ক্ষুধা সূচক-২০২১-এ প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ১১৬টি দেশের মধ্যে সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৬তম। মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ১৯ দশমিক ১। বৃহস্পতিবার কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ও ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে যৌথভাবে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (জিএইচআই) ২০২১ প্রকাশ করেছে। জিএইচআইয়ের ওয়েবসাইটে সূচকটি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে কারও স্কোর শূন্য হওয়ার অর্থ সেখানে ক্ষুধা নেই। আর স্কোর ১০০ হলে বুঝতে হবে সেখানে ক্ষুধার মাত্রা সর্বোচ্চ। এই সূচকের মাধ্যমে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের ক্ষুধার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার হিসাব করে ক্ষুধার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বৈশ্বিক, আঞ্চলিক বা জাতীয় যেকোনো পর্যায়ে ক্ষুধার মাত্রা নির্ণয় করতে এ সূচকগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্ষুধা সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান ১০১তম, স্কোর ২৭ দশমিক ৫। এবারের সূচকে ৯২তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান, স্কোর ২৪ দশমিক ৭। গত বছর পাকিস্তানের অবস্থান ছিল ৮৮তম। ২০২১ সালের সূচকে বাংলাদেশের আরেক প্রতিবেশী নেপালের অবস্থান ৭৬তম, স্কোর ১৯ দশমিক ১। অর্থাৎ, এবারের সূচকে বাংলাদেশ ও নেপাল সমঅবস্থানে রয়েছে। এবারের সূচকে বাংলাদেশের থেকেও এগিয়ে রয়েছে আরেক প্রতিবেশী মিয়ানমার। তাদের অবস্থান ৭১তম, স্কোর ১৭ দশমিক ৫। সূচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালে ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৪, যা ক্ষুধার ‘গুরুতর’ মাত্রাকে নির্দেশ করে। ২০০৬ সালে স্কোরে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়, স্কোর দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ৯। ২০১২ সালের স্কোরে বাংলাদেশ আরও উন্নতি করে, স্কোর হয় ২৮ দশমিক ৬। চলতি বছরও বাংলাদেশের স্কোরে অগ্রগতি এসেছে। ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ১৯ দশমিক ১।
Link copied!