শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘মিয়ানমারে ২০২৩ সালের আগস্টে নির্বাচন, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হবে’

প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, আগস্ট ১, ২০২১

‘মিয়ানমারে ২০২৩ সালের আগস্টে নির্বাচন, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হবে’

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা মিন অং হ্লাইং আবারও নির্বাচনের প্রুতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, নতুন নির্বাচন হবে বহুদলীয়। এই নির্বাচন হবে ২০২৩ সালের আগস্টে। এ সময়েই প্রত্যাহার করা হবে জরুরি অবস্থা। নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে ৬ মাস আগে উৎখাত করে তিনি এক বছরের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন যে সময়সীমার কথা বলছেন, তাতে তিনি নিজের ক্ষমতাকে আরো বর্ধিত করলেন। জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি ওই ঘোষণা দেন। মিন অং হ্লাইং আরও বলেছেন, আসিয়ান বিশেষ দূত হিসেবে যার নামই ঘোষণা করুক, তার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত তার সরকার। লন্ডনের অনলাইন গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ১লা ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাচ্যুত করেন তিনি ও তার সহযোগীরা। এরপর ক্ষমতা দখল করে সুচিসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এর ৬ মাস পরে জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে ভাষণ দেন সামরিক জান্তা। তিনি এর আগেও যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে চাপ দেয়া হয়, তখন নির্বাচনের অঙ্গীকার করেন। বলেন, এক বছরের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। গণতান্ত্রিক সেই নির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হবেন, তার হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেবেন। ওদিকে আগামীকাল সোমবার বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। কূটনীতিকরা বলছেন, মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ও তার বিরোধীদের মধ্যে একটি শান্তি সংলাপ আয়োজন করা এবং সহিংসতা বন্ধের দায়িত্ব দিয়ে তারা একজন বিশেষ দূত চূড়ান্ত করবেন এ বৈঠকে। এর আগে এপ্রিলে আসিয়ানের সঙ্গে ৫ দফায় রাজি হয় সামরিক জান্তা। এতে সহিংসতা বন্ধ, রাজনৈতিক সংলাপ এবং একজন আঞ্চলিক বিশেষ দূতের নাম ঘোষণার কথা বলা হয়। সামরিক অভ্যুত্থানে সুচির সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছে মিয়ানমার। এ সময়ে রাজপথের বিক্ষোভকে প্রাণঘাতী উপায়ে দমনপীড়ন চালানোর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে সুসংহত করেছে জান্তা সরকার। কিন্তু এখনও সেখানে সহিংসতা অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফল জুলাইতে বাতিল করে সামরিক জান্তা। তারা দাবি করে এতে কমপক্ষে এক কোটি ১০ লাখ ভুয়া ভোটার ভোট দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস বলেন, অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের জনপ্রিয় বিক্ষোভকে হত্যা, নির্যাতন এবং খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে মোকাবিলা করেছে সরকার। জনগণের বিরুদ্ধে এসব হামলা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এ জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। দেশে বিশৃংখল অবস্থার কারণে হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন্যান্য কর্মী বিক্ষোভে যোগ দেন অথবা ধর্মঘটে সমর্থন দেন। এ জন্য তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
Link copied!