মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

লুটের টাকা ভারতীয় ব্যাংকে জমা দিতে ৬০ জন

প্রকাশিত: ০৯:২৫ এএম, জুন ৮, ২০২২

লুটের টাকা ভারতীয় ব্যাংকে জমা দিতে ৬০ জন

ডেইলি খবর ডেস্ক:লুটের টাকা ভারতীয় ব্যাংকে জমা দিতে ৬০ জন বেতনভুক্ত লাক নিয়োগ করেিেছলেন পিকে হালদার। লুটের টাকা নিয়ে নিরাপদ মনে করে পরিবারের সকলকে নিয়ে পিকে হালদার ভারতে গিয়েও বিপাকে ।বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা লুটের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ৮৮টি ভারতীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই সব অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল বেতনভুক্ত ৬০ জনের একটি দল। তাদের কাজ ছিল প্রতিদিন গিয়ে লাখ লাখ টাকা এসব অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে আসা। খবর ইডি।তদন্তে বেরিয়ে আসছে এখনো পর্যন্ত পি কে এবং তার সহযোগীদের ভারতে ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ায় সাতটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে। আরো কত সম্পত্তি ভারতে তৈরি করেছেন পি কে হালদার এবং তার সহযোগীরা,তা জানতে গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুন) কলকাতার ১ নম্বর বিশেষ সিবিআই আদালত পি কে হালদার এবং তার পাঁচ সহযোগীর আরো ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ২১ জুন তাদের ফের আদালতে পেশ করা হবে। এদিন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিব শঙ্কর হালদার এবং তার পাঁচ সহযোগী স্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার এবং প্রাণেশ কুমার হালদারকে আদালতে হাজির করা হয়। ইডির পক্ষ থেকে সরকারি আইনজীবী অরিজিত্ চক্রবর্তী পি কের উদ্ধার হওয়া সম্পত্তি এবং সম্পদের বিবরণ দিয়ে আদালতে জানান, আর কোথায় কত সম্পদ রয়েছে তা জানতে আরো জেল হেফাজতের প্রয়োজন রয়েছে। পালটা অভিযুক্তদের আইনজীবী শেখ হায়দার আলি এবং সোমনাথ ঘোষ তদন্তের অগ্রগতি নেই জানিয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পরে সরকারি আইনজীবী অরিজিত্ চক্রবর্তী বলেন, একাধিক ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা কীভাবে উপার্জিত হয়েছে তার উত্তর পি কে হালদার দিতে পারেনি। তেমনই বলতে পারেনি কলকাতা ও তার উপকণ্ঠে একাধিক সংস্থা গড়ে তোলার জন্য বিপুল অর্থ কোথা থেকে তারা পেয়েছেন।গোয়েন্দারা বলছেন, জেরা করলে প্রশান্ত কুমার হালদারের ভারতে আরো শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি এবং বিনিয়োগের কথা জানা যেতে পারে। পাশাপাশি তারা জানার চেষ্টা করছেন, কত টাকা পি কে অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে এসেছেন। এদিকে বাংলাদেশের জনগণের জমানো াামানত লুটে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া পিকেরে নিয়ে ভারতে সিনেমা তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে। কিভাবে এক দেশ থেকে লুট কওে ভিন্ন দেশে পারি জমিয়ে লুন্ঠনকারীরা জীবনযাপন করে। বাংলাদেশের পিকের লুট নিয়ে কানাডা-এমেরিকা,মালয়েশিয়া ভারতসহ বিভিন্ন দেশে মুথরোচক গল্প ব্যাপকভাবে চলছে।  
Link copied!