করোনার টিকা নিশ্চিত করতে দেশের প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার থেকে ১২ থেকে ১৭ বছরের স্কুলশিক্ষার্থীদের কোভিডের টিকার নিবন্ধনের জন্য জন্ম সনদের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জন্ম সনদ দিয়ে স্কুলশিক্ষার্থীদের নিবন্ধন উন্মুক্ত হয়েছে। এখন থেকে সুরক্ষা অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে জন্ম সনদের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে। তারাই নিবন্ধন করতে পারবে, যাদের নাম স্কুলের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় এসব নামের তথ্য সুরক্ষায় ইনপুট দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা সরাসরি সুরক্ষায় নিবন্ধন করতে পারবে। এ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে শুধু জন্ম সনদ দিয়ে চেষ্টা করলে নিবন্ধন করা যাবে না।
এর আগে বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ১২-১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের তথ্য ছক আকারে পূরণ করে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ই-মেইলে (ংঃঁফবহঃ.াধপপরহধঃরড়হ২০২১@মসধরষ.পড়স) পাঠাতে হবে। বিষয়টি অতি জরুরি উল্লেখ করে তথ্যছকে শিক্ষার্থীদের ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর, নাম, প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রতিষ্ঠানের কোড, জন্মতারিখ ও অভিভাবকের মোবাইল নম্বর দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনার টিকা দেওয়ার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ওই দিন দুপুরে মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্কুল শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী দিনে সদর উপজেলার চারটি স্কুলের ১২ থেকে ১৭ বয়সি ১২০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ২১টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্কুল শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। স্কুল শিক্ষার্থীদের তালিকা সরবরাহ করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এ টিকা দেওয়ার দিন-তারিখ চূড়ান্ত না হলেও শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হবে জানা গেছে।