শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্লোগানে মুখর রংপুরের সমাবেশস্থল

প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, অক্টোবর ২৯, ২০২২

স্লোগানে মুখর রংপুরের সমাবেশস্থল

রংপুর মহানগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে শনিবার সকাল থেকেই কানায় কানায় ভরে গেছে। এই মাঠেই দুপুর ২টায় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হবে। মাঠের বিভিন্ন জায়গায় চলছে নেতা-কর্মীদের মিছিল, স্লোগান। রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ আশেপাশের জেলাগুলো থেকে নেতা-কর্মীরা গতরাতেই এসেছেন। অনেকেই এই মাঠে রাত্রিযাপন করেছেন। এ সমাবেশে ১০ লাখ মানুষের জমায়েত ঘটানোর লক্ষ্য বিএনপি নেতাদের। সরেজমিনে শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে রংপুর মহানগরীর প্রবেশমুখ মাহিগঞ্জ সাতমাথা, মেডিকেল মোড়, টার্মিনাল রোডসহ বিভিন্ন এলাকা দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মিছিল নিয়ে আসতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান সড়কগুলোতে খণ্ড খণ্ড মিছিলের চাপ বাড়ছে, বাড়ছে স্লোগানের প্রতিধ্বনিও। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান জানান, রাত ৯টায় তারা ৫০টি অটোরিকশা নিয়ে রওনা দিয়ে আজ সকালে পৌঁছেছেন রংপুরের সাত মাথায়। সেখান থেকে হেঁটে তারা কালেক্টরের মাঠে আসেন। পুলিশি বাধা ও ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ক্র্যাচে ভর করে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে পৌঁছান কুড়িগ্রামের উলিপুরের ষাটোর্ধ্ব শারীরিক প্রতিবন্ধী (পঙ্গু) আজিজার রহমান। তিনি জেলার হাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য। এক দুর্ঘটনায় ২০ বছর আগে তিনি পা হারিয়েছেন। বিএনপির নেতাদের দাবি, গণসমাবেশে মানুষের উপস্থিতি ঠেকাতে রংপুরের সব রুটে বাস বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশি তল্লাশির নামে পথে পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। তবে বাস না পেলেও বিএনপির কৌশলী নেতাকর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিকল্প বাহনে রংপুরে জড়ো হওয়া শুরু করেছেন। এদিকে সমাবেশে আসার পথে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বাধা দিতে পারেন এমন আশঙ্কায় গতকাল সন্ধ্যা থেকেই বিএনপির বহু নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে গিয়ে অবস্থান নেন। রাতেই কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সমাবেশস্থলের চারপাশ ছেয়ে গেছে রং-বেরঙের দলীয় পোস্টার-ব্যানারে। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক সমাবেশস্থলসহ আশপাশের বিভিন্ন মাঠে শুকনো খাবার, কাঁথা-কম্বল-চট নিয়ে তাবু গেড়ে অবস্থান নেন। সমাবেশ সফল করতে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের উসকানিমূলক আচরণ না করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সংগ্রহকৃত মোবাইলের মাধ্যমে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে সমাবেশে না যাওয়ার জন্য কঠোর হুমকি দিচ্ছে।
Link copied!