শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবেশী থাইল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার: শেখ হাসিনা

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ০৮:১৭ এএম

প্রতিবেশী থাইল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার: শেখ হাসিনা


প্রতিবেশী থাইল্যান্ডকে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল’ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ দেখে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন,দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে এবং ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও গভীরে প্রোথিত।
২৬ এপ্রিল শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত।
সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেন মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার গতিশীল অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডকে আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখি।এর আগে গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছলে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাকে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান থাই প্রধানমন্ত্রী।  

স্বাধীনতার এক বছরের মাথায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেও ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানের এটাই প্রথম সফর। ৫২ বছর পর থাইল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান৫২ বছর পর থাইল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পৌঁছনোর পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী ¯্রথো থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান। এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় তিনি গার্ড পরিদর্শন করেন। শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে সই করেন। থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি, একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই করা হয়।
সরকারি পাসপোর্ট ধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। এছাড়াও জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা হয়। সেই সাথে মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা শুরু করতে দুই দেশের মধ্যে লেটার অব ইনটেন্ট বা এলওআই সই হয়েছে।এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে মনে করছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে এসব দলিল সইয়ের পর গভর্নমেন্ট হাউজে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তারা। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করা ও শুধু মাত্র থাইল্যান্ডের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নেওয়র প্রস্তাব দিয়েছি। উভয় পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ,প্রধানমন্ত্রীর সফরে চোখ সবারগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রীর সফরে চোখ সবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সেরা পর্যটন পদ্ধতি থেকে উপকৃত হতে আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই করেছি। বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করছে বলে জানান তিনি। আর সমুদ্রপথে যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে রানং ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে আলোচনার কথাও উল্লেখ করে শেখ হাসিনা। বলেন, থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ ‍‍`ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প‍‍` বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছে। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে বলেও তিনি। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসা কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণেরও প্রস্তাবও দিয়েছি। ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউজে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনাব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউজে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, চুক্তি ও সমঝোতাই, যৌথ সংবাদ সম্মেলনের পর গভর্নমেন্ট হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য থাই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজ অংশ নেন শেখ হাসিনা। থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ২৩ এপ্রিল ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!