শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রীতি উরাং’র মৃত্যু, আশফাক দম্পতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১০:৪৪ এএম

প্রীতি উরাং’র মৃত্যু, আশফাক দম্পতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

 
ইংরেজী পত্রিকা ডেইলি স্টারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসার গৃহকর্মী প্রীতি উরাং-এর মৃত্যুর ঘটনায় গুরুতর অপরাধে লঘু মামলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ। ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ মন্তব্য করেন। বলেন, সৈয়দ আশরাফুল হকের বাসায় একাধিক গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর প্রীতি উরাং এর মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা দিয়ে অপরাধকে আড়াল করা হয়েছে।
এই মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘গৃহকর্মীদের সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য বারবার সরকারের কাছে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দাবি ও অনুরোধ জানানো হলেও বাস্তবে আমরা এর কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। সাম্প্রতিক সময়ে গৃহকর্মীদের নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনা আমাদেরকে এর প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে। সর্বশেষ আদিবাসী শিশু প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের কথা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসী ও সরকারকে জানাতে এবং নিরপেক্ষ ও দ্রæত তদন্তের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
বক্তব্যে বলা হয়, ‘এই বছরের ৬ ফেব্রæয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুরে সৈয়দ আশফাকুল হক ও তানিয়া খন্দকারের বাসায় আদিবাসী এই শিশুটির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনার সময় সৈয়দ আশফাকুল হক ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৪ এপ্রিল তিনি চাকরিচ্যুত হন। প্রীতির মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। তবে এ বিষয়ে যে ফলোআপ গণমাধ্যমে হওয়া দরকার ছিল, অনেক ক্ষেত্রে তাকে আংশিক বলে মনে হয়েছে আমাদের কাছে। গুরুতর অপরাধে লঘু মামলা করা হয়েছে।
প্রীতি উরাং-এর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে তাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু, স্বাধীন, নিরপেক্ষ,প্রভাবমুক্ত, পক্ষপাতহীন ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং দ্রæত বিচারের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই আমরা।’ 
ঐ বাসার আরো কয়েকজন শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সেই সকল ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার হয়নি উল্লেখ করা বক্তব্যে বলা হয়, ‘আরো অনেক শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেই সকল অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে অটল থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করছি আমরা।’ 
লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায় সৈয়দ আশফাকুল হকের মোহাম্মদপুরের ওই ফ্ল্যাট থেকে গত বছরের ৪ আগস্টে ৭ বছরের আরো একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সরেজমিনে এই সম্পর্কে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, মোহাম্মদপুর, স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হয়।
৭ বছর বয়সী যে শিশুটি বেঁচে আছে, মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তার জননাঙ্গের লেবিয়া মাইনরা থেকে এনাল পর্যন্ত ৩-৩-৩ সেন্টিমিটার দীর্ঘ-চওড়া-গভীর ক্ষত রয়েছে বলে জানায় সচেতন নাগরিক সমাজ। তার জননাঙ্গে অপারেশন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই অপারেশনে অভিভাবক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন ঐ ভবনের ম্যানেজার আব্দুল আদেল। শিশুটির মা-বাবাকে না জানিয়েই এই অপারেশন করা হয়।
বক্তব্য বলা হয়, ‘ডিএমপি পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তড়িঘড়ি করে পেশেন্টকে সরিয়ে নেওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সৈয়দ আশফাকুল হকের অফিসের লোকেরা হুমকি-ধামকি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে শিশুটির এই সংবেদনশীল ক্ষতটির উল্লেখ নেই।
পড়ে যাবার আগেই দু’ পায়ের মাঝে শিশুটি আঘাত পাওয়ার কথা বলেছে আমাদের প্রতিনিধিদের কাছে। এই আঘাতটি কি? যার কারণে সে মরে যেতে চেয়েছিল? আমাদের অনেক আশঙ্কা আছে। আমরা মনে করছি, এর অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আপনারা জানেন, ঘটনার পরে সৈয়দ আশফাকুল হকের পক্ষে ওই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে আদালতের মাধ্যমে ২ লাখ টাকায় বিষয়টির আপসরফা হয়েছে। যদিও আমরা সরেজমিনে গিয়ে জেনেছি ওই টাকাও মধ্যস্বত্বভোগীর ভোগে চলে গেছে।’ বক্তব্যে বলা হয়,  ‘হুবহু একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দুর্ঘটনা হতে পারে না। অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা দিয়ে অপরাধকে আড়াল বা লঘু করা হচ্ছে, আমরা এমন আশঙ্কা করছি। আমাদের অনুসন্ধানে জেনেছি মৃত্যুর সময় প্রীতির বয়স ছিল ১৩ বছর (২০১৮ সালে ৭ বছর বয়সে প্রাক-প্রাথমিক স্কুল ছাড়ার বিবেচনায়)।’ 
সচেতন নাগরিক সমাজ জানায়, মামলার এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা উদ্দেশ্যমূলক। বক্তব্যে বলা হয়, ‘অভিযোগ রয়েছে আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া খন্দকার প্রায়ই তার বাসায় কর্মরত গৃহকর্মীদের মারধর করতেন। একটি টিভি চ্যানেলে প্রীতিকে পরীক্ষাকারী একজন ডাক্তার বলেছেন, প্রীতির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পায়ুপথের আকৃতি অস্বাভাবিকভাবে বড়। দুর্গামণি বাউরি নামে ওই বাড়ির আরেকজন শিশু গৃহকর্মী জানিয়েছে, সৈয়দ আশফাকুল হক তাকে বেল্ট দিয়ে মেরেছে। তার মাথায় রক্ত জমে গিয়েছিল। প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। তারা পারিশ্রমিকও পেয়েছেন সামান্য।
প্রীতি উরাং নামের শিশুটি পড়ে যাবার আগে মতান্তরে ১২/১৩ মিনিট ঝুলে ছিল। সে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। এলাকার বহু মানুষ এই ঘটনার সাক্ষী। আশপাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি।বক্তারা বলেন, ‘কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না। দেশের সকল সংবাদমাধ্যমের সম্মানিত সম্পাদকদের কাছে, এই মহান পেশার নিরপেক্ষতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবার ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রেখে তারাও এই অপরাধের নিন্দা জানাবেন এবং যথাযথ বিচার দাবি করবেন সেই প্রত্যাশা আমরা করি।
প্রীতি উরাং সহ শিশু গৃহ শ্রমিকদের কাঠামোগত হত্যার দায়দায়িত্ব সরকার এড়াতে পারে না। এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ মানুষের বিবেককে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা আমরা লক্ষ্য করছি না। গৃহ শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষায় সরকার ২০১৫ সালে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করলেও সেই নীতিমালা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমরা মনে করি সরকারের অবহেলা এবং উদাসীনতার কারণে শিশু গৃহ শ্রমিকরা অকালে প্রাণ দিচ্ছেন।’
এসময় সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কাছে ১০টু সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো তুলে ধরে সচেতন নাগরিক সমাজ:
১.প্রীতি উরাং-এর অস্বাভাবিক মৃত্যু বা হত্যার সুষ্ঠু স্বাধীন নিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন, প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত মৃত্য বিবেচনা করা হলে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হালকা করা হবে। এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। এর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কিংবা প্রয়োজনে উচ্চ বিচার বিভাগীয় নির্দেশনা দেবার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।
৩. প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেইসাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. আশফাকুল হকের বাসায় থেকে নির্যাতিত যে শিশুটি বেঁচে আছে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. বেঁচে থাকা শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনার তদন্ত করতে হবে। এবং প্রয়োজনে আইনি প্রক্রিয়ায় দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে।
৬. সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ৩ জন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুযায়ী, কোনো শিশুকে কোনো পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যায় না। সৈয়দ আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে শিশুদের উপর নির্যাতনের যে দৃষ্টান্ত রয়েছে সেগুলির বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে আইনি প্রক্রিয়ায় তার বিচার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
৭. যে দারোয়ানরা বাড়ির মালিকের ইশারায় বা নির্দেশে প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকেও নিরপেক্ষ বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই সঙ্গে ডেইলি স্টারের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মিন্টু দেশোয়ারা এবং ভবনের ম্যানেজার আব্দুল আদেলকে তদন্তের আওতায় আনার
৮. চা বাগান থেকে আনা শিশুদেরকে পাচার করা এবং যৌনদাস করার জন্য কোনো চক্র কাজ করেছে কিনা, সেটাও আলাদাভাবে তদন্ত করে দেখার দাবি জানাচ্ছি।
৯. শিশুশ্রম বিষয়ক নীতিমালাকে আইনে পরিণত করার জোর দাবি করছি। শ্রমে নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ১৪ বছরের পরিবর্তে ১৮ বছর করার দাবি জানাচ্ছি। গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালায় গৃহশ্রমে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়স ১৪ বছরের পরিবর্তে ১৮ বছর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
১০. ২০১৭ সালে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রম মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষায় সারাদেশে মনিটরিং সেল গঠনের যে নির্দেশনা আছে তা অবিলম্বে কার্যকরের জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে গৃহ শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সরকার ও নাগরিক সমাজ, নারী ও শিশু সংগঠনের সমন্বয়ে সারা দেশে এই গৃহকর্মীদের প্রতি কোনো অন্যায় আচরণ বা নির্যাতন করা হয় কি না, তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা করা দরকার উল্লেখ করে, আর একজন গৃহকর্মীও যেন নির্যাতনের শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে মানবাধিকার সংস্থা, নারী অধিকার, সামাজিক সংগঠন ও সচেতন নাগরিকদের আরো বেশি সোচ্চার ও সক্রিয় হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয় লিখিত বক্তব্যে।
আবারও আলোচনায় প্রথম নারী অভিভাবক বাঁধনআবারও আলোচনায় প্রথম নারী অভিভাবক বাঁধনসচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‍‍`নিজেরা করি‍‍` সংগঠক খুশি কবীর সহ আরও অনেকেই। সৈয়দ আশরাফুল হকের বাসায় বিভিন্ন সময়ে সহকারীদের বয়স ছিলো ৭ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। যা শিশু শ্রম আইনের লঙ্ঘন। তারও তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। গৃহকর্মীদের রক্ষায় সারাদেশে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশনা বাস্তবায়নেরও দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!