পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী : নীলফামারীতে স্ত্রীর মামলায় ডিমলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোহেল রানা বর্তমানে নীলফামারী জেলা কারাগারে রয়েছেন। জানা যায় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় জামিন না পেয়ে স্বামী সোহেল রানা কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকরা মামলায় আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোহেল রানা হলো ডিমলার পূর্ব ছাতনাই কলোনী ইউনিয়নের মিয়াপাড়ার মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি ডিমলা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
জানা যায়, প্রায় ১৩ বছর আগে হানিফা আক্তার ইতির সঙ্গে সোহেল রানার পারিবারিক প্রস্তাবের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার যৌতুক দেন। সংসার চলাকালীন একমাসের মধ্যে আরও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন সোহেল রানা।
তার স্ত্রীর পরিবার আরও যৌতুকের দাবি প্রত্যাখান করলে, সোহেল রানা তার স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের মাত্রা প্রতিদিন বাড়তে থাকায় বাধ্য হয়ে তার স্বামী সোহেল রানার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একাধিক মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে হানিফা আক্তার ইতি বলেন, আমার স্বামী সোহেল রানা একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হলেও সে একজন মানুষের রুপে অমানুষ, তারমাঝে বিন্দু মাত্র মানবিকতা নেই। বিয়ের পর থেকেই সে টাকার জন্য আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করেছে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে আমি আমার দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছি। বাবার বাড়িতে এসেও আমাকে বেধড়ক মারধর করতো সোহেল রানা। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন মিন্টু বলেন, শুনানিকালে আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করলে আদালত নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
আপনার মতামত লিখুন :