রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে মারামারি

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে মারামারি

শ্যামনগর প্রতিনিধি: লোভী মাছ শিকারীরা সুন্দরবনের খালে-নালে বিষ ঢেলে মাছ নিধন করেই চলছে। এবার এ নিয়ে দ্ব›েদ্ব দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পার্শ্বেমারী এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে জড়ানো দুটি পক্ষের একটির নেতৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মোড়ল। অপরটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম।
আহতদের মধ্যে মিজানুর রহমান মোড়ল (৫৫), তাঁর পক্ষের মোকাররম হোসেন (৩৫), মোশারফ হোসেন (৬০), মনিরুল ইসলাম (২৬) ও জাহাঙ্গীর (২৪), প্রতিপক্ষের মফিজুল (৪০), ইউসুফ (২৬),রবিউল (৩৪) ও মহিনুরকে (৪০) শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মিজানুর রহমান ও মফিজুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মিজানুর রহমান মোড়লে ছেলে জামাল ফারুকের ভাষ্য, তাদের এলাকার ইউনুস আলী, অহিদুল, আজিজুর, উজ্জল, শাহাজান, মইনুর ও মফিজুল সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ নিধনে জড়িত। দুই মাস আগে হাতেনাতে এই চক্রের দুই সদস্য বন বিভাগের হাতে আটক হয়। সম্প্রতি জামিনে ফিরে আসেন তারা। পরে আবারও তারা বিষ ঢেলে সুন্দরবনের মাছ নিধন শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর বাবা শুক্রবার রাতে মইনুর ও মফিজুলকে ডেকে মাছ শিকারে বিষ ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মফিজুল ও মইনুর। তারা এ বিষয়ে স্থানীয় যুবদল নেতা শাহ আলমের কাছে নালিশ দেন।
জামাল ফারুক বলেন, শনিবার দুপুরে তাঁর বাবা মিজানুর রহমান মোড়ল বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।পথে মইনুরের বাড়ির সামনের রাস্তায় এলোপাতাড়ি কোপানো হয় তাঁকে। খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় তিনিসহ সাতজন আহত হন। তবে পাঁচজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমের দাবি, সুন্দরবনে মাছ ধরা নিয়ে মিজানুর মোড়লের লোকজনের সঙ্গে এক পক্ষের দ্ব›দ্ব চলছে। শনিবার সকালে মিজানুরের লোকজনের ওপর মফিজুল ও মইনুর হামলা করেন। তিনি দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করতে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা হলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 
তিনি দাবি করেন,প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর পক্ষের কয়েকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এতে তাদের চারজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাকির হোসেন জানিয়েছেন, উভয় পক্ষের ৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মিজানুর ও মফিজুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাদের শরীরে ক্ষত তৈরি হয়েছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবিরের ভাষ্য,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। চিকিৎসা নেওয়ার পর আহতদের স্বজনকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।ছবি-সংগৃহীত

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!