রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভারতের দাদাগিরি বাংলাদেশের মানুষ আর দেখতে চায় না: মির্জা ফখরুল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৯:০১ পিএম

ভারতের দাদাগিরি বাংলাদেশের মানুষ আর দেখতে চায় না: মির্জা ফখরুল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের মানুষ ভারতের দাদাগিরি আর দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,‘পদ্মা এখন অস্তিত্ব সংকটে। আগামী সরকার শক্তিশালী না হলে পদ্মা আরও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। । এই অন্যায়, দাদাগিরি আর সংকট মোকাবিলা করতে হলে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের মাঠেও ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালাতে হবে।’
কনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির‘পদ্মা বাঁচাও,দেশ বাঁচাও’ গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর পরে শুধুমাত্র খালেদা জিয়াই ভারতের কাছে এই ন্যায্য হিস্যার কথা জোরেশোরে বলেছেন। এ অধিকার কোনো দয়া নয়-এটা আমাদের প্রাপ্ত অধিকার। যতক্ষণ না পদ্মার ন্যায্য পানির হিস্যা পাওয়া যাচ্ছে,ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। আন্তর্জাতিক মহলকে বুঝাতে হবে-এ দাবি বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন।’
দেশের রাজনৈতিক সংকটে সরকারের সমালোচনা করে সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি দল দেশকে খুব গভীর সংকটে নিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত দুর্বল হবে। নির্বাচন না হলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।’তিনি বলেন, ‘হাসিনাকে দেশে ফিরতে দেবে না দেশের মানুষ। ফ্যাসিস্টরা যাতে আর মাথা তুলতে না পারে, সেজন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
জামায়াতের সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ জামায়াতকে ভোট দেবে না,কারণ মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। ষড়যন্ত্র বাদ দিয়ে ভালো পথে আসতে হবে। আর নির্বাচন না হলে জামায়াতের রাজনৈতিক অস্তিত্বও থাকবে না।’
তিনি বলেন,‘একটি দল বারবার পিআর পদ্ধতির কথা বলছে। দেশের সাধারণ মানুষ এসব বোঝে না-কার ইঙ্গিতে এগুলো চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে ‘সমাবেশস্থ মঞ্চে তিনি রাজশাহী বিভাগের বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেন।
এর আগে দুপুরের পর থেকেই নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে প্ল্যাকার্ড ও মিছিলসহ আসতে শুরু করে। বিকেল হতেই ভর্তি হয়ে যায় কলেজ মাঠ।
সমাবেশে আসা নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ জানান, পদ্মা এলাকায় পদ্মার ভাঙন এখনো মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় আতঙ্ক। অনেকের অভিযোগ সরকার বদলালেও পদ্মা রক্ষায় স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই এবার শুধু প্রতিশ্রæতি নয়; বাস্তবে কার্যকর পরিকল্পনার আশা করছেন স্থানীয়রা। আর বহু বছরের নদী-বেদনায় জর্জরিত মানুষও আজ নতুন করে আশাবাদী আজকের এই গণসমাবেশে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে।
‘পদ্মা বাঁচাও,দেশ বাঁচাও’আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে বিএনপি ঘোষিত পদপ্রার্থী অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা,বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন,রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক এমপি আমিনুল ইসলাম। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগ বিভিন্ন জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ অনেক নেতারা গণসমাবেশে যোগ দেননি।ছবি-সংগৃহীত

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!