নীলফামারীর সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল

পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী: নীলফামারী জেলায় সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ঈদের পরেও সড়কে শৃঙ্খলা রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ টহল ও চেকপোষ্ট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আজ ১লা এপ্রিল ঈদের পরের দিনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে নীলফামারী সদরের উত্তরা ইপিজেড এবং সৈয়দপুর বাসটার্মিনাল, শুটকির মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, হেলমেট ও লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেল আরোহী, নছিমন, ভটভটি এবং প্রাইভেট কার ও বাসে তল্লাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। 
সদরের দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহেসান ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওমর ফারুক এবং সৈয়দপুরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা মজুমদারের নেতৃত্বে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ সময় উত্তরা ইপিজেড পয়েন্টে পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত রায় ও সৈয়দপুর পয়েন্টে এসআই সুজন উপস্থিত ছিলেন। 
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহেসান জানান, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে নীলফামারীতে সাধারণ জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঈদের পরও নিরলস ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। ‘যৌথ বাহিনীর চেকপোষ্ট পরিচালনার মুল উদ্দেশ্য হলো সচেতনতা বৃদ্ধিসহ মানুষ যেন নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে এবং দুষ্কৃতিকারীদের তৎপরতা সীমিত রাখা যায়।  
সেনাবাহিনী সুত্র জানায়, গত ২মার্চ থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিভিন্ন ধরনের চেকপোষ্ট ও তল্লাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ পর্যন্ত দুই উপজেলায় ২৫২টি মামলায় ৮লাখ ৩৬হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এরমধ্যে নীলফামারীতে ১৪২টি মামলায় ৪লাখ ৭০হাজার ৬’শ টাকা এবং সৈয়দপুরে ১১০টি মামলায় ৩লাখ ৬৫হাজার ৯’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 
সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা মজুমদার জানান, কার্যক্রমের ফলে জনগণের মাঝে আরো তৎপরতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তল্লাশি কার্যক্রমের মাধ্যমে লাইসেন্স ও হেলমেট বিহীন মোটর সাইকেল ও মাইক্রোবাসে একাধিক আরোহী থাকায় তাদেরকে সতর্ক করা হয়।