দেশের হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে চারদিক। বইছে হিমেল হাওয়া, মাঠেঘাটে পড়ছে শিশিরের ছোঁয়া। সকালের কনকনে হিমেল হাওয়ায় জমে থাকা অতিরিক্ত আর্দ্রতা মানুষকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। রাতের তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঠান্ডায় শ্রমজীবী মানুষের আয়-রোজগারও কমে গেছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,যা ছিল মৌসুমের অন্যতম কম তাপমাত্রা। তারও আগের দিন সোমবার ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রিসেলসিয়াস। ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রার এই ওঠানামা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করেছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ঠান্ডায় ভোরে দোকান খুলতেই হাত-পা জমে আসে। ঠান্ডা হাওয়া সরাসরি লাগে। লোকজনও সকাল সকাল খুব একটা বের হয় না। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভাব পড়ছে।
শ্রমজীবী একাধিক রিকশাচালক বলেন, ঠান্ডায় ভোর থেকে কামাই কমে গেছে। লোকজন ঠান্ডায় বের হয় না। তবুও কাজ তো করতে হবে। তাই মোটা কাপড় পরে রিকশা চালাই। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, শীত নামতে শুরু করেছে। ডিসেম্বরের শুরুতে শীত আরও তীব্র হবে। শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী মাসেই একাধিক শৈত্যপ্রবাহ দেশের এই এলাকায় বয়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :