শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
বেইলি রোডে আগুন

১১ দিন পর বৃষ্টির মরদেহ বুঝে পেল পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম

১১ দিন পর বৃষ্টির মরদেহ বুঝে পেল পরিবার

বেইলি রোডের গ্রীন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ ১১ দিন পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে বাবা শাবলুল আলম ওরফে সবুজ খান মরদেহটি বুঝে নেন।

বৃষ্টি খাতুনের বাবা সবুজ খান বলেন, ‘আল্লাহর কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া যে ১১ দিন পার হলেও নিজের মেয়ের মরদেহ বুঝে পেলাম।’

প্রশাসন, সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য যাচাই বাছাই করে আমার সন্তান আমার কাছে ফেরত দিয়েছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সবুজ খান বলেন, ‘১১ দিন ঘুরেছি, আমি একটা বাবা, মেয়ের লাশ নিতে পারিনি। এই ১১টা রাত ঘুমাতে পারিনি। তাঁর মায়ের কষ্ট, কান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেছে। তাঁর বোনগুলো কান্না করছে। যাক সব তথ্য যাচাই বাছাই করে আমার সন্তানকে ফেরত পেয়েছি।’

সবুজ খান আরও বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকশা থানার বনগ্রামে। সেখানে ব্র্যাক স্কুল থেকে পাস করে হাইস্কুলে ভর্তি হয় বৃষ্টি। গ্রাম থেকে এসএসসি ও কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। পরে ঢাকায় ইডেন কলেজে ভর্তি হয়। গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বৃষ্টির মরদেহ দাফন করা হবে।

সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আগুনের ঘটনায় প্রাণ হারানো বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল তাঁর মা-বাবার সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মিলে যায়। আজ অফিসিয়ালভাবে বৃষ্টির মরদেহ বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর দিন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ শনাক্ত করেছিলেন তাঁর বাবা সবুজ খান। তবে রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা দাবি করেন—মৃতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সে নিয়মিত মন্দিরে আসত। তিনি রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন—ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এরপর বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মর্গ থেকে মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গতরাতে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা আবারও লিখিতভাবে আবেদন করেন—‘আমার কোনো দাবি নাই। এটি ভুল বোঝার কারণে হয়েছে। মরদেহ প্রকৃত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হোক।’

আরও একটি মরদেহের বিষয়ে জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, নাজমুল নামে আরও একটি মরদেহ আছে। ডিএনএ নমুনা এখনো পুরোপুরি মিলে নাই। একটু সময় লাগবে।

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!