শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে: ব্রিফিংয়ে ডা. জাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে: ব্রিফিংয়ে ডা. জাহিদ

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। শনিবার খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘১২-১৪ ঘণ্টা জার্নি করে বিদেশের নেওয়ার সক্ষমতা এখন হয়নি। স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে বেগম জিয়াকে বিদেশে নেওয়া হবে।’ এসময় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো বিভিন্ন গুজব নিয়ে সতর্ক করেন এবং গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে মেডিকেল বোর্ড। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত আছে, তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায়, বিদেশে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং তারা আশাবাদী যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। 
ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সমন্বয়ের জন্য তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা ও তদারকি করছেন। এ ছাড়া তারেক রহমানও সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন এবং চিকিৎসকদের নির্দেশনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। মেডিকেল বোর্ড তাকে ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত ঘোষণা করে ‘সবুজ সংকেত’ দিলেই কেবল সেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে।
এনামুল হক চৌধুরী বলেন,ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমেই কাতারের অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে আসবে। তারা সেভাবেই প্রস্তুত রয়েছে। মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাবে এবং ম্যাডামকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবে। পুরো প্রক্রিয়ার ব্যবস্থাপনা করছে কাতার কর্তৃপক্ষ।
জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, জার্মানি থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসছে, বিষয়টি ঠিক আছে। তবে এটি আমরা ভাড়া করছি না। কাতার কর্তৃপক্ষই তাদের তত্ত্বাবধানে জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা (অ্যারেঞ্জমেন্ট) করে দিচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য কাতারের রয়েল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগেই সবকিছু হচ্ছে।ছবি-সংগৃহীত

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!