মেডিকেল রির্পোটার: রাজধানীর আরমানিটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জুবায়েদ হোসাইন নামের ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির একটি বাড়ির সিঁড়িতে জুবায়েদ হোসাইনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ওসি জানান, ওই বাড়িতে টিউশনি করাতেন জুবায়েদ। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়িটির তিনতলার সিঁড়িতে রক্তাক্ত মরদেহটি পড়ে ছিল। প্রথম তলা, দ্বিতীয় তলা ও তৃতীয় তলায় ওঠার সিঁড়িতে রক্তের দাগ আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘মৃত্যুর খবর শুনেছি। এখনও কারণ জানা যায়নি। খুবই বেদনাদায়ক এটি। পুলিশকে সিসি ক্যামেরা দেখতে বলেছি। আমি স্পটে যাচ্ছি।’
সন্দেহভাজন দুজন শনাক্ত-জুবায়েদ হোসাইনকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী রোববার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’
হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তাঁকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বিল্ডিংয়ের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।’
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে বংশালের নূরবক্স রোডের মকথা এলাকায় কালো টি-শার্ট ও পিঠে কালো ব্যাগ নিয়ে দুই যুবককে দৌড়ে বংশাল রোডের দিকে যেতে দেখা গেছে। পুলিশের ধারণা, তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :