শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৪, ১২:১০ এএম

উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ

 

উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথের মধ্য দিয়ে জাতি বিন¤্র শ্রদ্ধায় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মরণের মধ্য দিয়ে সারা দেশে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে অর্জিত স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্তি উদ্যাপন করল বাংলাদেশ, যে দেশের মানুষের সামনে এখন সোনালি ভবিষ্যৎ। তাই দেশের জন্মদিনে এক অন্যরকম স্বস্তি, আনন্দ ও শপথে জেগে উঠেছিল বাঙালি। সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারও ব্যক্ত করা সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন লাল-সবুজের উত্সবে। শ্রদ্ধাবনত জাতি ফুলে ফুলে ভরে দেয় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারের বেদিমূল। ঢাকাসহ সারা দেশে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় দিবসের কর্মসূচি।
সূর্যোদয়ের সময় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক। ‘স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪’ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি প্রথমে ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা এখন চার দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানই প্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। দীর্ঘ ১১ বছর পর ওয়াংচুক তার পতœীসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন। এর আগে ২০১৩ সালে রাজা ও রানী বাংলাদেশ সফর করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকশ দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। পরে রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন। এরপর দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতির কার্যাভার পালনরত বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতির কার্যাভার পালনরত বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম মহান জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্মৃতিসৌধে ঢল নামে সাধারণ মানুষের। 
 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!