শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১

‘সরকারকে ১৫ জানুযারির মধ্যে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ দিতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ০৬:২০ পিএম

‘সরকারকে ১৫ জানুযারির মধ্যে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ দিতে হবে’

অন্তর্র্বতী সরকারকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণ-অভুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশে তিনি এ আল্টিমেটাম দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এতদিন পর্যন্ত আমাদের এই জুলাই গণ-অভুত্থানের কোনো ঘোষণাপত্র ছিলো না। আমরা বলতে চাই ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণ-অভুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে হাসনাত আরো বলেন, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আপনারা জেলায় জেলায় পাড়া মহল্লায় মানুষের কাছে যাবেন, তারা কি বলতে চায় সে কথাগুলো উঠিয়ে নিয়ে আসবেন। যারা এখনো ষড়যন্ত্র করছেন তাদের বলতে চাই আপনাদের আম্মু আর দেশে ফিরবে না। যাকে আমরা সীমান্তের ওপারে পাঠিয়েছি তাকে আর এ দেশে পুর্নবাসনের সুযোগ দেয়া হবে না।
এসময় তিনি বলেন, আজ এতদিন হয়ে গেলো এখনো বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত করতে পারিনি। আমরা দেখিছি পিলখানায় দেশপ্রেমিক অফিসারদের একজন একজন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই অতি শিগগিরই পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। আমরা শাপলা চত্বর ভুলে যাইনি। শাপলাতে লাইট নিভিয়ে রাতের আঁধারে আলেম-ওলামাদের হত্যা করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদরে হত্যার সেই বিচার নিশ্চিত করতে হবে। গুম খুনের বিচার করতে হবে। এ দেশে এখন আর আমাদের কোনো শত্রু নেই। আমাদের একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে হাসনাত বলেন,৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দ্রব্যমূল্য এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আপনি যদি মনে করেন বারবার বলতে থাকেন সিন্ডিকেট এক হাত থেকে আরেক হাতে গিয়েছে। তাহলে আপনার কাজটা কি। যেখানেই সিন্ডিকেট তাদের হাত ভেঙে দিতে হবে। এছাড়া কোনো বিপ্লবীর গায়ে যদি হাত উঠে এ সরকারকে তার দায়ভার নিতে হবে।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন,আওয়ামী লীগের বিচারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ এবং আহত আছেন তাদের প্রতি ন্যায় বিচার হয়নি। এ মানুষগুলোর যথাযথ চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এমনকি সরকার সম্পূর্ণ দায় নিয়ে এ পরিবারগুলোর নিরাপত্তা দিতে হবে।এই মুখপাত্র আরো বলেন, জুলাই মরে যায় নাই। আমরা জুলাইয়ের শক্তি নিয়ে এখনো রাস্তায় আছি এবং আমরা কোনোভাবে ’৯০ এর মতো, ‘৭১ এর মতো ‘২৪ কে ব্যর্থ হতে দিবো না। উমামা ফাতেমা ‘২৪ এর যোদ্ধাদের জুলাইয়ের স্পীড সমন্বত রাখার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। এর আগে, বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা যেন জনসমুদ্রের ঢল নেমেছে। ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিপ্লবীরা সকাল থেকে শহীদ মিনারে ও আশপাশে অবস্থান করতে দেখা গেছে।কর্মসূচিতে অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া আহতরাও এসেছেন।

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!