নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা যেন বিভক্তির রাজনীতি না করি। এখন যেটা প্রয়োজন দেশকে বাঁচানোর জন্য,গণতন্ত্রকে ফিরে পাবার জন্য আমাদের প্রয়োজন ঐক্য... স্ট্রাকচার তৈরি করেন... সংস্কার অবশ্যই লাগবে। কিন্তু সেই সংস্কারটা হচ্ছে যে, এর পেছনে যে শক্তিটা লাগবে সেটা হচ্ছে যে, নির্বাচিত পার্লামেন্ট, নির্বাচিত সরকার... এটা ছাড়া সংস্কারকে কখনো লেজিটেমেসি দিতে পারব না আমরা। এটা ফ্যাসিস্টরা পারবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ‘রাজবন্দির জবানবন্দি’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আরে ক্ষমতা তো টিকে থাকবে তখনই, যখন তুমি সেটেল করতে পারবা, স্থিতশীলতা আসবে। তার জন্যই আমরা বারবার বলি, সংস্কার তো আমরাই শুরু করেছি ভাই।’
দেশে সংস্কারের সংস্কৃতি বিএনপিই প্রথম চালু করেছে বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সংস্কার সংস্কার বলা হচ্ছে, সংস্কার তো আমরা আগে শুরু করেছি। জিয়াউর রহমান প্রথম সংস্কার করেছেন, এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। এই যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা একদম বন্ধ ছিল, মাত্র চারটা পত্রিকা চালু ছিল। সবগুলো সংবাদপত্র চালু করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের যে ত্যাগ, আমাদের জনগণের,আমাদের ছাত্রদেও,আমাদের যুবকদের,আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের আমাদের মহিলাদের- এটা কোনোদিনই বৃথা যাবে না।তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অল্প কিছুদিনের মধ্যে পুরোপুরি মুক্ত হবেন এবং আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন।
বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার জন্য কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কাতারের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি তারা একেবারেই কোনোরকম পারিশ্রমিক ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সে দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই ব্রিটিশ সরকারকে তারা সেখানে যাওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবসহ যারা ওখানে রয়েছেন তারা ইতোমধ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করেছেন। ম্যাডাম মুক্ত অবস্থায় তাঁর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে পৌঁছেছেন, এর চেয়ে বড় প্রাপ্ত আর কী আছে।
আপনার মতামত লিখুন :