চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো শুরু করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্রাভিস হেড। ক্রিজে সেট হয়ে দলকে বড় রানের পথে তুলে নিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। কার্যকরী এক ফিফটি তুলে নেন অ্যালেক্স কেরিও। কিন্তু টার্নিং পয়েন্টে তাদের আউট করে ৩ বল থাকতে ২৬৪ রানে অজিদের অলআউট করেছে ভারত।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ রানে প্রথম ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফিরে যান ইনজুরিতে পড়া ম্যাথু শটের জায়গায় একাদশে ঢোকা অজি ওপেনার কুপার কনলি। ট্রাভিস হেড ৩৩ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে ওই ধাক্কা সামাল দেন। কিন্তু দলের রান ৫৮ হতেই ফিরে যান তিনি। তার ব্যাট থেকে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা আসে।
তিনে নামা স্টিভ স্মিথ ও চারে নামা মার্নাস লাবুশানে নতুন করে জুটি গড়েন। ওই জুটি আশা দিলেও দলের ১১০ রানে ভেঙে যায়। ৩৬ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান লাবুশানে। পরেই আউট হন জস ইংলিশ। তবে স্মিথ ও কেরি ৫৪ রান যোগ করে দলের রান ঠিক রাখেন। দলের দরকার মিটিয়ে ব্যাট করা স্মিথ ৯৬ বলে ৭৩ রান করে আউট হন। তিনি রানের গতি বাড়াতে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে মোহাম্মদ শামির ফুলটসে বোল্ড হন।
অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় স্মিথের পরেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মাত্র ৬ রান করে বোল্ড হলে। ক্রিজে এসে এক ছক্কা মেরেই অক্ষরের বলে ফেরেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়া ১৯৮ রানে ৫ উইকেট থেকে ২০৫ রানে ৬ উইকেট হয়ে যায়। টার্নিং পয়েন্টে কেরির রান আউটও অজিদের জন্য ছিল বড় ধাক্কার। ব্যাটারদের নিয়ে দলের রান এগিয়ে নেওয়া এই ব্যাটার ৫৭ বলে ৬১ রান যোগ করেন। সাতটি চার ও একটি ছক্কা মারেন।
ভারতের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন মোহাম্মদ শামি। তিনি ১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট নিয়েছেন। লেগ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন। রবীন্দ্র জাদেজা ৮ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল ও হার্ডিক পান্ডিয়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :