মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র : হোয়াইট হাউস

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম

ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র : হোয়াইট হাউস

ইরানের যে কোনো হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি। একইসঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। বুধবার (২৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।মুখপাত্র জন কিরবি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ এ এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানি আক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। তবে ইরানের বিবৃতিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে হোয়াইট হাউস।তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, তারা যদি তা করতে চায় তাহলে তারা এখনো আক্রমণ চালাতে প্রস্তুত, যে কারণে আমাদের এই অঞ্চলে বাড়তি সামরিক শক্তি মোতায়েন রয়েছে।হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা মুখপাত্র বলেন, ইরানের প্রতি আমাদের বার্তা সামঞ্জস্যপূর্ণ, ছিল এবং থাকবে। প্রথমত, ইসরায়েলে হামলা করবেন না। চলমান এই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আর বাড়ানোর কোনো কারণ নেই। সম্ভাব্য কোনো ধরনের আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু করার কোনো কারণ নেই। এবং  দ্বিতীয়ত, যদি ইসরায়েলের ওপর হামলা আসে তাহলে আমরা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে প্রস্তুত।
গত মাসের শেষের দিকে তেহরান সফর করার সময় তিনি হত্যাকান্ডের শিকার হন এবং এই ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। ইসরায়েল অবশ্য এই ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি। ইরান হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কঠোর জবাব দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। এমন অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে দুটি এয়ারক্রাফ্ট-ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রæপের পাশাপাশি এফ-২২ ফাইটার জেটের একটি অতিরিক্ত স্কোয়াড্রনও মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিরবি বলেন, আমাদের বাহিনী সেখানে ততক্ষণ থাকবে ‘যতক্ষণ না আমরা মনে করি ইসরায়েলকে রক্ষা করতে এবং এই অঞ্চলে আমাদের নিজস্ব সৈন্য ও স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করতে আমাদের সেখানে অবস্থান রাখতে হবে। তিনি ১০ মাস ধরে চলা গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং ১০৮ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরত দেয়ার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবং আগামী দিনে কাতারের রাজধানী দোহাতে আরো আলোচনার অপেক্ষায় থাকার কথা জানিয়েছেন। অবশ্য আলোচনায় অচলাবস্থার জন্য উভয় পক্ষের কাউকেই দায়ী করতে অস্বীকার করেছেন কিরবি। তিনি বলেছেন, চুক্তির জন্য ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সমঝোতা ও নেতৃত্বের প্রয়োজন হবে। দলগুলো এখনো এ বিষয়ে কাজ করছে এবং এটি ভালো জিনিস। আমরা এখন দোহাতে কর্মরত গোষ্ঠীগুলোর সাথে অন্য স্তরে চলে এসেছি, এটি খারাপ কিছু নয়। এর মানে হলো, পক্ষগুলো এখনো কথা বলছে। হামাস এখনো এই ওয়ার্কিং-গ্রæপ আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব করছে এবং এটি ভালো বিষয়। কেউই প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়নি।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!