করোনার এ সময়ে পথঘাট জনমানব শূন্য, নেই কোনো কোলাহল। সবার মাঝেই যেন অজানা এক আতঙ্ক। এমন সময়েই প্রকৃতি তার স্ফুরণ ঘটিয়েছে। তাই তো আজ চোখ ধাঁধাচ্ছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া।
শেষ হয়েছে গ্রীষ্মকাল। এরপরই এসেছে বৈশাখ মাস। এটি কৃষ্ণচূড়া ফোটার সময়। সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৃতিতে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে উপস্থিতি জানান দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়া।
আজ গাছজুড়ে লাল রঙের ফুলের সমারোহ। এই লাল রঙ ঢেকে দিয়েছে গাছের সবুজ পাতাকে। এভাবেই বৈশাখের আকাশে গনগনে সূর্য আর তপ্ত রোদে সৌন্দর্যের বার্তা দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়া। এ চিত্র রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানের।
কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ, যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এ গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুন লাল ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ।
কৃষ্ণচূড়ার আদিনিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারে। উষ্ণ ও শুকনো আবহাওয়া এ ফুলের উপযোগী। হংকং, ক্যারাবিয়ান অঞ্চল, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ আরও অনেক দেশেই কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে।
কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময়কাল সব দেশে একই নয়, ভিন্ন ভিন্ন দেশে এটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আবির্ভূত হয়। ভিনদেশি হওয়ার পরও কৃষ্ণচূড়া আমাদের দেশি ফুলের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে। শাখা পল্লবে ছড়ানো চার পত্রবিশিষ্ট এ ফুল উজ্জ্বল লাল, কমলা বা এদের সংমিশ্রণে হয়। উষ্ণ আবহাওয়ার উপযুক্ত এ বৃক্ষ নিজস্ব সৌন্দর্যে অতুলনীয়। সৌন্দর্য বিলানো ছাড়াও গাছটি গ্রীষ্মকালে ছায়া দিতে বিশেষভাবে পারঙ্গম।