বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২

ঐকমত্য কমিশন নোট অব ডিসেন্ট বাদ দিয়েছে, এটা প্রতারণা: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ০১:৪২ পিএম

ঐকমত্য কমিশন নোট অব ডিসেন্ট বাদ দিয়েছে, এটা প্রতারণা: মির্জা ফখরুল

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়ে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় ড্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন,‘গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময় দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রæতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রæত সংস্কার করা প্রয়োজন।’
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘ড. ইউনূস, আপনি জনগণের সামনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যেটুকু সংস্কার দরকার সেগুলো করে নির্বাচন দেবেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যে সংসদ হবে, সে সংসদ সেসব সংস্কার করবে। এর বাইরে গেলে, ব্যত্যয় হলে তার দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে ড. ইউনূসের সরকারকে।’তিনি আরও বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের সংসদ তৈরি হলে যে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সেখানে বাস্তবায়ন হবে।’এ সময় নির্বাচন যত দেরি হবে,ফ্যাসিবাদ শক্তি তত শক্তিশালী হবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। 
ছোটখাটো সমস্যা দূরে রেখে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন,‘২০২৬ সালের ফেব্রæয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে। সংস্কার সনদে স্বাক্ষরিত দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘নয়া দিগন্ত আমাদের কাছে সংগ্রামের আরেক নাম। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই পত্রিকার সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক ও কর্মীরা অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তবুও তারা ধৈর্য,সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চালিয়ে গেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিগত স্বৈরাচারী শাসনামলে এই পত্রিকার সাংবাদিকদের ওপর ছিল দমন-পীড়নের ভয়াবহ ছায়া। তবুও তারা গণমানুষের চেতনা ও সত্যের সংবাদ প্রচারে অটল ছিলেন। এই সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় বিগত ফ্যাসিস্টের আমলে বিএনপির ৬০ লাখ কর্মীকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, ২০ হাজার কর্মীকে খুন করা হয়েছে এবং অনেকে গুম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।  
তিনি বলেন,‘বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গণমাধ্যমের ওপর অনেক অত্যাচার চালানো হয়েছে। সেই বাকশাল বিলুপ্তির পর জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। সংস্কারের শুরুটা হয় তার আমল থেকেই।’ 
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘নয়া দিগন্ত সবসময় সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। দলের পক্ষ থেকে সম্পাদক, প্রকাশক, রিপোর্টার ও সব কর্মীবৃন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’বক্তব্যের শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নয়া দিগন্ত পরিবারকে শুভেচ্ছা জানান দলের মহাসচিব।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!