রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

অর্থবছরের শুরুতেই ব্যয় সংকোচন নীতিতে সরকার

চাকরি ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম

অর্থবছরের শুরুতেই ব্যয় সংকোচন নীতিতে সরকার

নতুন অর্থবছরের শুরুতেই ব্যয় সংকোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণ, গাড়ি কেনাসহ আরো কিছু খাতে সরকার এই নীতি নিয়েছে। ৪ জুুুুুলাই বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে ২০২৪-২৫ অর্থবছওে সব মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ অধিদপ্তর/ পরিদপ্তর/ দপ্তর/ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর,করপোরেশন এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের সীমা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রনালয়ের বাজেট শাখা থেকে ওই পরিপত্র জারি করা হয়।
ডলার সঙ্কট, জ্বালানি সঙ্কট, অর্থনৈতিক মন্দা বিবেচনায় গত বছরও সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার।
যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: সব ধরনের থোক বরাদ্দ থেকে ব্যয় বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ, পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।
পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক/অনাবাসিক ও অন্যান্য ভবন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ থাকবে। তবে চলমান নির্মাণ কাজ ন্যূনতম ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকলে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে।
সব ধরনের যানবাহন কেনা (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) খাতে বরাদ্দ অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের বেশি পুরোনো টিওএন্ডইভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। পরিচালন বাজেটের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। আর উন্নয়ন বাজেটের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে অধিগ্রহণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করতে হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে জিওবি বাবদ সংরক্ষিত এবং মন্ত্রণালয়/ বিভাগের অনুকূলে ‘থোক বরাদ্দ’ হিসেবে সংরক্ষিত জিওবি’র সম্পূর্ণ অংশ অর্থ বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে।
সরকারের নিজস্ব অর্থে সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ/ ওয়ার্কশপ/ সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে, অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। যেমন-পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা/ বিশ্ববিদ্যালয়/ দেশের স্কলারশিপ/ ফেলোশিপ-এর আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য বিদেশ ভ্রমণ। বিদেশি সরকার/ প্রতিষ্ঠান/ উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যাবে।
প্রি-শিপমেন্ট ইনস্পেকশন বা পিএসআই ও ফ্যাক্টরি অ্যাসেপটেন্স টেস্ট বা এফএটি’র আওতায় বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির গত ২ জানুয়ারির পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। একান্ত অপরিহার্য বিবেচনায় পিএসআই-এফএটি -এর আওতায় বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতি নিতে হবে।
২০২২ সালের ১২ মে জারি করা এক পরিপত্রেও বলা হয়েছিল, কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সপোজার ভিজিট,শিক্ষাসফর,এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ,কর্মশালা বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকার নির্দেশ দেয় সরকার। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেই নির্দেশনা শিথিল করা হয়।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!