দেশে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন আগে-পরে অনুষ্টানের বিষয় নিয়ে রজনৈতিক ঐকমত এখনো হতে পারেনি জারনৈতিক দলগুলো। বিএনপি-জামায়াতের বিপরিতমুখী অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক সংকট সামনে এগুচ্ছে। অকে-অপরের বিরুদ্ধে বÍব্য-বিবৃতি চলছে জামায়াত-বিএনপির সঙ্ঘে। সুত্রের খবর বিএনপির ঘোর আপত্তির মধ্যেও জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সর-জনতার আন্দোলনের নেতারা গণঅভ্যুত্থানের দাবি জানালেও সরকারপন্থী দলগুলোর সমর্থনে জামায়াতে ইসলামীও স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। তবে বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য দ্রæত জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, অন্যথায় দেশ আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে বলে তাদের আশঙ্কা।
রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে এখন এই প্রশ্ন-জাতীয় নাকি স্থানীয় নির্বাচন আগে হবে? দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি চায় আগে জাতীয় নির্বাচন। অন্যদিকে, সরকারপন্থী দলগুলো ও জামায়াতে ইসলামী মনে করে, জনগণ চায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হোক। বিএনপির মতে, স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে তা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে এবং জাতীয় নির্বাচন আরও বিলম্বিত হতে পারে।
গত মঙ্গলবার অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। একই দিনে নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য জানান, তারা ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে কোন নির্বাচনের আয়োজন আগে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন,এ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নতুন বিভক্তি দেশের জন্য ভালো হবে না। তারা মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমতে পৌঁছে নির্বাচন আয়োজন করাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। এখন দেখার বিষয়, সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো ও নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয়-আগে স্থানীয় নাকি জাতীয় নির্বাচন? এদিকে,ছাত্র-চনতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-গণঅধিকারসহ সবায় একমত সংস্কার না কওে কোনো নির্বাচন নয়। সংস্কার আগে।
আপনার মতামত লিখুন :