মনজুর এলাহী শাহীন: রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন এলাকা নন্দীপাড়া গোলাবাড়ি থেকে ওএমএস এর পণ্য জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় খোলা আটা ১৬ বস্তা, প্যাকেট আটা ৪১ বস্তা, ২৫ কেজির ৪০ বস্তা চাউল, ৫০ কেজির ১৭ বস্তা চাউল, ৫ টন একটি ট্রাক যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ন-১৩৬৩১৫ জব্দ করেন এবং ডিলার আলী ও ড্রাইভার মিলনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ওএমএস পন্য কালোবাজারির জন্য পাঁচজন ও আরো ১০-১২ জন অজ্ঞাত আসামী করা হয়। মামলা নং ৫১ তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০২৫।
আসামীরা হলেন, ১। শাহ আলী (৩২), পিতা-মতিউর রহমান, মাতা-পারুল বেগম, সাং কান্দারচর, থানা-ইসলামপুর, জেলা-জামালপুর, এ/পি-নন্দীপাড়া, থানা-খিলগাঁও, জেলা ঢাকা, ২। ড্রাইভার মোঃ মিলন, (৩১), পিতা-সেরাজুল হক, মাতা-জান্নাত বেগম, সাং-পক্ষীয়া, থানা-বোরহান উদ্দিন, জেলা ভোলা, এ/পি-সাত রাস্তার মোড়, থানা-তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, জেলা-ঢাকা এবং পলাতক আসামী ৩। মোঃ ইব্রাহিম (৪৫), পিতা অজ্ঞাত, সাং-১৫০১ নন্দীপাড়া নুর মসজিদ রোড, থানা-খিলগাঁও, জেলা-ঢাকা, ৪। নাছির উদ্দিন খান (৪৫), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-হোল্ডি নং-২৮, রোড নং-২, নয়ানগর, থানা-অজ্ঞাত, জেলা-ঢাকা, ৫। শহিদুল ইসলাম বাবু (১৫), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-জুরাইন বাজার বালুর মাঠ, থানা-শ্যামপুর, জেলা-ঢাকা।
খিলগাঁও থানাধীন নন্দীপাড়া গোলারবাড়ী জনৈক মিজানুর রহমানের ভাঙ্গারী দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর সরকারী চাল, আটা মূলত কালোবাজারী ও মজুদ করার উদ্দেশ্যে পিকআপে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য অবস্থান করছে, উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে এএস আই মোঃ আবু হানিফ অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করলে ২৫/১১/২০২৫ইং তারিখ বিকাল ৪টা উল্লেখিত ঘটনাস্থলে পৌছামাত্র কতিপয় ব্যক্তি পালানোর চেষ্টাকালে সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় দুইজন ব্যক্তিকে আটক করেন। অপর পাঁচজন ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় উদ্ধারকৃত আলামত খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক খোলা বাজারে বিক্রির জন্য সরবরাহকৃত এবং উক্ত মালামাল এর মালিক পলাতক ৩ ও ৪নং আসামী। তখন গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বর্ণিত মালামালের বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে বললে তারা কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারে নাই। এছাড়াও আসামীরা আরো জানায় যে, বর্ণিত আলামত চাউল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে সরবরাহ করা হলেও পলাতক ৩ ও ৪নং আসামী খোলা বাজারে বিক্রি না করে কালোবাজারী ও মজুদ করার উদ্দেশ্যে বর্ণিত পিকআপ যোগে শ্যামপুর থানাধীন পলাতক ৫ নং আসামী শহিদুল ইসলাম বাবু (২৫) এর নিকট পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বর্নিত ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল মর্মে স্বীকার করে। বর্ণিত ধৃত আসামীদ্বয় ও পলাতক আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক খোলা বাজারে বিক্রির জন্য সরবরাহকৃত চাউল, আটা কালোবাজারি ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখে ১৯৭৪ এর বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় অপরাধ করেছে বলে জানা যায় মামলার এজাহারে।

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :