রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

ট্রাম্পকে নিয়ে অপপ্রচার চালাতে গিয়েও আওয়ামী লীগ ব্যর্থ: প্রধান উপদেষ্টা

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম

ট্রাম্পকে নিয়ে অপপ্রচার চালাতে গিয়েও আওয়ামী লীগ ব্যর্থ: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালেও আন্তর্জাতিক সমর্থনের কারণে তারা ব্যর্থ হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে আমাদের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন গড়ে উঠেছে। যে কারণে অপপ্রচারকারীরা সুবিধা করতে পারছে না। তারা বহু গল্প বানালেও তা টিকছে না। এমনকি ট্রাম্পকে নিয়েও যে গল্প করল,তাও ব্যর্থ হলো। শনিবার (১৫ফেব্রæয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন,ছোট-বড় সব রাষ্ট্র আমাদের পাশে রয়েছে। তাদের ভাষা শুনে আমি অবাক হই। তারা জানার আগেই বলে, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। ক্রমাগত তাদের সমর্থন বাড়ছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক-এই দুই সমর্থন যদি আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে কাজে না লাগাতে পারি, তবে সেটি আমাদের ব্যর্থতা। এই সুযোগ আমরা হারাতে চাই না।
ড. ইউনূস বলেন,আন্তর্জাতিক মহল আমাদের জিজ্ঞেস করে- অর্থনৈতিক সহায়তা বা সংস্কারে কীভাবে সাহায্য করতে পারে। তারা জানায়, প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া পরিবর্তন টেকসই হবে না। তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এমন আইনকানুন তৈরি করব, যা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে। একবার নিয়ম হলে তা কেউ পাল্টাতে পারবে না। তখন জিতলে কেউ সন্দেহ করবে না যে জিতিয়ে দেয়া হয়েছে। এখনকার মতো ‘কলকাঠি নাড়ার’ সংস্কৃতি দূর হবে।
ড. ইউনূস বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের অপরাধগুলো বিশ্ববাসী দেখেছে। বাংলাদেশকে ঘিরে চলা অপপ্রচার এক প্রতিবেদনে শেষ। আরো বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টেও তাদের অপরাধের কথা উঠে এসেছে।
তিনি আরো বলেন,গুম-তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে ভয়াবহ সব অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর দেশ ও বিশ্ব বুঝেছে আমরা কীসের কথা বলছিলাম।
ড. ইউনূস বলেন, প্রথম অধ্যায় পার করে আজ আমরা দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করছি। এই অধ্যায় যেন আনন্দের সঙ্গে শেষ করতে পারি। নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠন হবে, সেটি হবে স্বচ্ছ ও প্রশ্নাতীত।
তিনি বলেন, সংস্কার কমিশন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে কাজ করেছে। এখন আমাদের দায়িত্ব হলো সেই সংস্কারগুলো গ্রহণ করে দ্রæত বাস্তবায়ন করা।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি একাডেমিক আলোচনা নয়, বাস্তব আলোচনা। আপনাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আইন ও নীতি প্রণয়ন হবে। আমরা কোনো কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না, কেবল সহায়ক ভূমিকা পালন করছি।
তিনি আরো বলেন,আমরা একটি বিধ্বস্ত অবস্থায় দায়িত্ব নিয়েছি এবং গত ছয় মাসের অভিজ্ঞতা আমাদের সাহস জুগিয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব—সবাই আমাদের সমর্থন দিয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় আমরা এক। প্রথম অধ্যায়ে আমাদের ব্যর্থ করার চেষ্টা যারা করেছে, তাদের সবাই মিলে মোকাবিলা করেছি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে,তারা ফিরে আসার জন্য মরিয়া। তাই আমাদের শক্ত থাকতে হবে। মতভেদ থাকবে, তবে একত্রে থাকাই হবে আমাদের শক্তি।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!