শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২

তানজানিয়ায় নির্বাচনি সংঘাতে নিহত ৭০০

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম

তানজানিয়ায় নির্বাচনি সংঘাতে নিহত ৭০০

আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী গত কয়েকদিনের সংঘাতে কমপক্ষে ৭০০ লোক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার প্রধান বিরোধী দল চাদেমা পার্টি। দেশটিতে ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বিক্ষোভকারীরা এখনো নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে অবস্থান করছে। খবর এএফপির।
তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যাপক নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। তবে তার সরকার নিজেদের অবস্থান শক্ত করার জন্য সমালোচকদের কণ্ঠকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সামিয়া সুলুহু মূলত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই এই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার দাবি করেছেন। তাকে চ্যালেঞ্জ জানানো নেতাদের তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে দেননি বা জেলে পাঠিয়েছেন।
গত বুধবারের নির্বাচনে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার অভিযোগে জনতা রাজধানী দার এস-সালাম ও অন্যান্য শহরের রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহুর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলা করা হয় নির্বাচনি কেন্দ্রগুলোতেও। এরপর সরকার দেশজুড়ে ইন্টানেট শাটডাউন ঘোষণা করে, পাশাপাশি জারি করা হয় কারফিউ।
এই নির্বাচনে বিদেশি সাংবাদিকদের নিষিদ্ধ করা হয় সংবাদ সংগ্রহ করার দায়িত্ব থেকে। আজ তিনদিন ধরে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছে। এ কারণে পুরো পরিস্থিতির খবরও পাওয়া যাচ্ছে না। 
দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা পার্টিকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। দলটি জানিয়েছে, আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দার এস সালামের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হয়েছে প্রতিবাদীরা। এখানকার রাস্তায় ভারি অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে।
চাদেমা পার্টির মুখপাত্র জন কিটোকা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, যদি মৃতের সংখ্যার হিসাব দেই তবে দার এস সালামে মারা গেছে সাড়ে তিনশ’র কাছাকাছি, মোয়ানজাতে মারা গেছে দুই শ’র বেশি। দেশের অন্যান্য স্থানের নিহতদের সংখ্যা যোগ করলে তা সাতশ’র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
কিটোকা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, মৃতরে সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তিনি অভিযোগ করেন, রাতের বেলায় কারফিউয়ের সময় হত্যার ঘটনা ঘটছে।
তানজানিয়ার নিরাপত্তা বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, পাঁচশর বেশি লোক মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং দেশজুড়ে এই সংখ্যা সাত থেকে আটশতে পৌঁছাতে পারে। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, তাদের কাছে ১০০ জন নিহতের খবর এসেছে। এএফপির সাংবাদিকরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে কথা বলতে গেলে কর্তকর্তারা ভয়ে কিছু বলেননি।
বুধবার থেকে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরের কোনো আপডেট করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুগু এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। সরকারি একমাত্র বার্তাটি এসেছে তানজানিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জ্যাকব মুকুন্দার একটি মন্তব্য থেকে। তিনি তার বক্তব্যে প্রতিবাদীদের ‘অপরাধী’ হিসেবে অভিহিত করেন।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!